বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফের নিয়মে বড় বদল। এই তহবিলের অর্থ স্থানান্তরকরণের প্রক্রিয়া আরও সহজ করল কেন্দ্র। ফলে চাকরি বদল করলেও বিষয়টিকে নিয়ে আর চিন্তাভাবনা করতে হবে না তাঁদের। শুধু তা-ই নয়, এতে আগের চেয়ে অনেক কম সময় লাগবে বলেও জানিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশন বা ইপিএফও।
এত দিন পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ হস্তান্তরের জন্য গ্রাহককে দু’টি দফতরে যেতে হচ্ছিল। সেগুলি হল, সোর্স অফিস এবং ডেস্টিনেশন অফিস। সোর্স অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট তহবিলের অর্থ স্থানান্তরিত হয়ে যেত ডেস্টিনেশন অফিসে। নতুন নিয়মে ডেস্টিনেশন অফিসের অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে ঘোষণা করেছে ইপিএফও। এ ছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটি ঘরে বসে ডিজিটাল মাধ্যমে করার সুযোগ গ্রাহককে দেওয়া হয়েছে।
ইপিএফও জানিয়েছে, গোটা প্রক্রিয়াটি তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে ফর্ম ১৩-র মাধ্যমে করতে হবে। এর সাহায্যে সোর্স অফিস থেকে অর্থ স্থানান্তরের দাবির অনুমোদন পাবেন গ্রাহক। এক বার সেটি হয়ে গেলে পূর্ববর্তী অ্যাকাউন্টটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে তাঁর বর্তমান অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার নিজস্ব ট্রাস্ট রয়েছে। কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ সেখানে জমা করে থাকে তারা। সংশ্লিষ্ট কর্মী ওই সংস্থা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলে ট্রাস্ট থেকে ইপিএফওর অ্যাকাউন্টে ফর্ম ১৩-র মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরিত করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, চলতি বছরের মে বা জুন মাস থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিষেবায় আসবে বড় বদল। এর জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করছে সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ইপিএফও ৩.০ সংস্করণ আনতে চলেছি। এতে পরিষেবা অনেক বেশি সহজ হবে। গ্রাহকেরা স্বয়ংক্রিয় দাবির নিষ্পত্তি (অটো ক্লেম সেটেলমেন্ট), ডিজিটাল সংশোধন এবং এটিএমে টাকা তোলার সুবিধা পাবেন।’’