প্রতীকী ছবি
লকডাউনে সিইএসসি এলাকায় গ্রাহকদের মিটার দেখা বন্ধ ছিল। ফলে মার্চের পর থেকে সংস্থার গ্রাহকেরা ‘প্রভিশনাল বিল’ পেয়েছেন। আনলক-১ শুরু হতে ৮ জুন থেকে ফের ধাপে ধাপে মিটার দেখা শুরু হয়েছে। লকডাউনের সময়ে আসলে যে বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে, তার নিট বিলও আসছে। আর তার অঙ্ক দেখেই চোখ কপালে উঠছে অনেকের। কেউ ইতিমধ্যেই বেশি বিল দিয়েছেন। অনেকের আবার আশঙ্কা, গত ক’মাসে আসা কম বিল তাঁরা মিটিয়েছেন। এ বার জুন বা জুলাইয়ে যে বিল আসবে তা-ও অনেকটা বেশি। কারও আবার বিল এতটাই বেশি এসেছে যে, এক সঙ্গে তা মেটানো কষ্টকর। সিইএসসি-র যদিও দাবি, বিদ্যুৎ শিল্পের নিয়ম মেনেই বিল পাঠাচ্ছে তারা। গ্রাহকদের মিটারে এখন মোট যা বিদ্যুৎ খরচ দেখাবে, তার থেকে প্রভিশনাল বিলে যত ইউনিট ধরা হয়েছিল তা বাদ দিয়েই নির্দিষ্ট করে বিল পাঠানো হচ্ছে বা হবে। গ্রাহকদের উঁচু মাসুলের ‘স্ল্যাবে’ যাওয়ারও সম্ভাবনা নেই।
সিইএসসির এক কর্তার দাবি, লকডাউন পর্বে গ্রাহকেরা এত দিন যে বিল পেয়েছেন, তা তার আগের ছ’মাসের বিদ্যুৎ খরচের গড়। ওই ছ’মাসের মধ্যে চার-পাঁচ মাসই শীতকাল ছিল। তাই বিদ্যুৎ খরচও কম হয়েছিল। যে কারণে প্রভিশনাল বিলও কম হয়েছে।
আর এখন মিটার দেখা শুরু হয়েছে। ফলে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে মোট বিদ্যুৎ খরচ মিটারে পাওয়া যাচ্ছে। মোট ওই ইউনিট থেকে প্রভিশনাল বিলের ইউনিট বাদ দিয়েই বিল তৈরি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কোনও গ্রাহক হয়তো প্রভিশনাল বিল পাওয়ায় এপ্রিলে গরমের সময়ও ফ্যান, এসি চালিয়েও কম টাকা দিয়েছেন। এখন বিদ্যুৎ খরচের ঠিক হিসেব পাওয়ার পর বিল কিছুটা বেশি হতেই পারে। ওই কর্তা জানান, লকডাউনে প্রায় সকলেই ঘরে থাকায় ও বাড়ি থেকে অধিকাংশ কাজ হওয়ায় এপ্রিল, মে মাসে বিদ্যুৎ খরচও তুলনায় বেশি হয়েছে।
গ্রাহকদের অনেকের প্রশ্ন, মিটার দেখার পর বিদ্যুৎ খরচের হিসেব পেয়ে তা এক মাসের বিলেই কেন চাপানো হচ্ছে? ধাপে ধাপেও তো তা নেওয়া যেত। সেটা কেন করা হচ্ছে না? সংস্থার যদিও দাবি, এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শিল্পের নিয়মই মেনে চলছে তারা।
আরও পড়ুন: এখন নগদে লাভ নেই, দাবি কৃষ্ণমূর্তির
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy