—ফাইল চিত্র।
সেনসেক্স ৪১,০০০-এর গণ্ডি পার করে সম্প্রতি সর্বকালীন রেকর্ড ছুঁয়েছে। শিখরে পা রেখেছে নিফ্টিও। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ বেশ কয়েক দিন ধরে দাবি করছিলেন যে, এই পরিসংখ্যান অর্থনীতির প্রকৃত ছবি নয়। বৃদ্ধির শ্লথ গতির প্রভাব সেখানে পড়ছে না। সূচক বাড়ছে হাতে গোনা কিছু বড় সংস্থার শেয়ারের উপর নির্ভর করে। তার বাইরে বহু সংস্থার শেয়ার দরের অবস্থা ভাল নয়। এই দাবি যে ভুল নয় তার প্রমাণ মিলল ২০১৯ সালে ছাড়া নতুন শেয়ারের (আইপিও) হাল দেখে।
তথ্য ভাণ্ডার সংস্থা প্রাইম ডাটাবেসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে আইপিও থেকে সংস্থাগুলির মূলধন সংগ্রহের অঙ্ক আগের বছরের তুলনায় ৬০% কমেছে। শুধু তা-ই নয়, বাজারে শেয়ার ছাড়ার জন্য সেবির অনুমতি পাওয়ার পরেও পিছিয়ে গিয়েছে ৪৭টি সংস্থা। অথচ, সংস্থাগুলি বাজার থেকে ৫১,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূলধন সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিল।
পরিস্থিতি কী
• ২০১৮ সালে ২৪টি আইপিও থেকে সংগ্রহ ৩০,৯৫৯ কোটি টাকা।
• এ বছর ১৬টি থেকে ১২,৩৬২ কোটি। আগের বছরের তুলনায় ৬০% কম।
কোথায় সমস্যা
• দেশের অর্থনীতির ঝিমুনি।
• শুল্ক-যুদ্ধ-সহ নানা কারণে বিশ্ব বাজারের সমস্যার
বিরূপ প্রভাব দেশে।
এই পরিস্থিতির কারণ কী?
বিভিন্ন সমীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে বড় কারণ দেশের ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতি। তার দোসর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক বাজারে নানা সমস্যা। সব মিলিয়ে যার ফলে বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে গিয়ে শুধু শিল্প সংস্থাই যে সমস্যায় পড়ছে তা নয়, মার খাচ্ছে কেন্দ্রের বিলগ্নিকরণ কর্মসূচিও। চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা তুলতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১৭,৭৪৪ কোটি টাকা (লক্ষ্যমাত্রার ১৭%) সংগ্রহ করা গিয়েছে। ছোট ও মাঝারি সংস্থা বা এসএমই এক্সচেঞ্জের আইপিও-র পরিস্থিতিও ভাল নয়। ২০১৮ সালে ওই বাজারে ১৪১টি সংস্থা শেয়ার ছেড়ে তুলেছিল ২,২৮৭ কোটি টাকার মূলধন। সেখানে ২০১৯ সালে আইপিও-র সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০। সংগ্রহ ৬২১ কোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy