ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে কামড় বসিয়েছে করোনাভাইরাস। ধাক্কা খাচ্ছে বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে কাঁচামালের সরবরাহ এবং উৎপাদন। যার ফলে পরিবহণ ক্ষেত্রে কমছে তেলের চাহিদাও। কমছে অশোধিত তেলের দাম। এই অবস্থায় উৎপাদন কমিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দামে স্থিতিশীলতা আনতে গত শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল ওপেক গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী দেশগুলি। কিন্তু উৎপাদন ছাঁটাই নিয়ে ওপেকের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিমতের ফলে সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে গিয়েছে। সূত্রের খবর, উৎপাদন ছাঁটাই তো দূরের কথা, বাজার দখল করতে এপ্রিল থেকে উৎপাদনও বাড়াতে পারে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলি। সে ক্ষেত্রে তেলের দাম আরও কিছুটা কমতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বছরের গোড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬৯ ডলারের কাছাকাছি ছিল। এখন নেমে এসেছে ৫০ ডলারের কাছাকাছি। তা আরও কমলে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে ভারত। সস্তায় তেল কেনার সুযোগ পাবে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ। আর একটি অংশ আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ডলারের নিরিখে টাকার দাম ক্রমাগত কমছে। সুতরাং, লাভ কতটা হবে তা নির্ভর করছে তেল এবং টাকা এই দুয়ের দামের উপরেই।
এখন বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী সৌদি আরবের দৈনিক তেল উৎপাদন প্রায় ৯৭ লক্ষ ব্যারেল। উৎপাদন ক্ষমতা ১.২ কোটি ব্যারেল। সূত্রের খবর, এ বার সেই উৎপাদন ১.১ কোটির কাছাকাছি তুলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। শনিবারই সৌদি অ্যারামকো এপ্রিলে তেলের দাম কিছুটা কমিয়েছে। সে ক্ষেত্রে তারা উৎপাদন বাড়াতে পারে।
গত শুক্রবার ভিয়েনায় ওপেক ও তার সহযোগী দেশগুলির বৈঠক হয়। তার আগে মনে করা হচ্ছিল, ওপেক সদস্য দেশগুলি প্রতি দিন ১০ লক্ষ ব্যারেল করে উৎপাদন কমাতে পারে। পাশাপাশি, সহযোগী দেশগুলিও দিনে আরও ৫ লক্ষ ব্যারেল করে উৎপাদন কমাতে পারে। সব মিলিয়ে ১৫ লক্ষ ব্যারেল। কিন্তু বৈঠকে মস্কো উৎপাদন ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে রাজি হয়নি। নতুন চুক্তির সম্ভাবনাও বাতিল হয়ে গিয়েছে। সৌদি আরব ও রাশিয়ার পাশাপাশি, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশগুলিও বাড়াতে পারে উৎপাদন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy