প্রতীকী ছবি।
দেওয়ালির আগের দিন পেট্রল, ডিজ়েলে উৎপাদন শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। তাতে একদফা দাম কমেছে তেলের। উপরন্তু পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো বিরোধীশাসিত কয়েকটি রাজ্য বাদে মূলত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি পণ্য দু’টিতে তাদের মূল্যযুক্ত করও (ভ্যাট) কমিয়েছে। তার পর থেকে আজ, রবিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন তেলের দাম একই রাখল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে লিটারে পেট্রল ও ডিজ়েলের দাম পড়ছে যথাক্রমে ১০৪.৬৭ টাকা ও ৮৯.৭৯ টাকা।
তবে এই ‘সামান্য স্বস্তির’ ধারা ক’দিন বজায় থাকবে, জল্পনা চলছে তা নিয়ে। কারণ, আমেরিকার বার্তাকে অগ্রাহ্য করে জোগান বৃদ্ধির পূর্ব পরিকল্পনাতেই অনড় তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক ও তাদের সহযোগীরা। ফলে ফের বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এক ধাক্কায় ২.২ ডলার বেড়ে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম পৌঁছেছে ৮৩ ডলারে। ডব্লিউটিআই প্রায় ৮২ ডলারে। এই পরিস্থিতিতে ভারতেও তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় কাঁটা সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
আমেরিকায় জো বাইডেন প্রশাসনের অবশ্য দাবি, জ্বালানির দাম সাধ্যের মধ্যে রাখতে মজুত ভান্ডার থেকে তেলের জোগান বৃদ্ধি-সহ সব রকম চেষ্টা করা হবে। যদিও উপদেষ্টা মহলের বক্তব্য, এতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, শীতে বিশ্ব জুড়ে তেলের চাহিদা বাড়বে। ফলে তখন জোগান না-বাড়লে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে, সে দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy