—ফাইল চিত্র।
এত দিন বলছিলেন শুল্ক-যুদ্ধে ইতি টানার লক্ষ্যে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য-চুক্তি শীঘ্রই হবে। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য, অন্য কোনও বাণিজ্য প্রতিনিধি নয়, চুক্তি হবে সরাসরি তাঁর ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের মধ্যে। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর ইঙ্গিত, দু’পক্ষের চুক্তির বিষয়গুলি প্রায় ঠিক হয়েই গিয়েছে। এখন সেগুলি নথিবদ্ধ করার কাজ চলছে। অন্য দিকে, বুধবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং সুয়াং জানান, দুই দেশ পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। প্রাথমিক চুক্তির বিষয়গুলি চূড়ান্ত করার জন্য কথাবার্তা চলছে দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, ১৩ ডিসেম্বর মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার বলেছিলেন, জানুয়ারির শুরুতে দু’দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম চুক্তিটি হবে। আর এ বার ট্রাম্প জানালেন, চুক্তিতে যুক্ত থাকবেন খোদ দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
ঘটনা হল, বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির একে অপরের পণ্যের উপরে ধাপে ধাপে আমদানি শুল্ক চাপানোর বিরূপ প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে। খাস চিনের বৃদ্ধির হার কমেছে। অর্থনীতির গতি বাড়াতে বাজারে নগদের জোগান বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেজিং। সে কারণেই শুধু আমেরিকার উপর ভরসা না-রেখে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গভীর করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছে চিন। এ দিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকে চিনের প্রিমিয়ার লি খ্যছিয়াং জানিয়েছেন, বেজিং তাঁদের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায়।
ঘটনা যা-ই হোক, অর্থনীতিবিদ থেকে বিশেষজ্ঞেরা খানিকটা আশ্বস্ত এই ভেবেই যে, দীর্ঘ চেষ্টার পরে শুল্ক-যুদ্ধের সমাধানের সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে দুই দেশের মধ্যে। যেখানে ওয়াশিংটন ও বেজিং উভয়েই পরস্পরের আমদানি করা কিছু পণ্যের উপর থেকে ধাপে ধাপে শুল্ক কমানো বা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর এক দফা শুল্ক বসানোর কথা থাকলেও সে পথে হাঁটেনি দু’পক্ষই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy