সময়ে রিটার্ন দাখিল না-করার হ্যাপা বিস্তর। তা যাতে পোহাতে না-হয়, সে জন্য নীচের কথাগুলি শুরুতেই মনে রেখে দেওয়া ভাল।
অগ্রিম কর জমা
করের দায় বছরে ১০ হাজার টাকার বেশি হলে, চার কিস্তিতে তা অগ্রিম জমা করতে হবে। চাকরিজীবীদের প্রতি মাসে বেতন থেকেই কর কেটে নেওয়া হয়। অন্যদের ক্ষেত্রে কর জমার তারিখ এবং অনুপাত এই রকম:
• ১ম কিস্তি: ১৫ জুন (১৫%)
• ২য় কিস্তি: ১৫ সেপ্টেম্বর (৪৫%)
• ৩য় কিস্তি: ১৫ ডিসেম্বর (৭৫%)
• ৪র্থ কিস্তি: ১৫ মার্চ (১০০%)
আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা
ক)
ব্যক্তিগত আয়করদাতা-সহ যাঁদের অ্যকাউন্ট অডিটের প্রয়োজন নেই:— ৩১ জুলাই
খ)
কোম্পানি এবং অন্যান্য আয়করদাতা, যাঁদের অ্যাকাউন্ট অডিট করতে হয়:—
৩০ সেপ্টেম্বর
সময় মতো রিটার্ন জমা না-করলে
ক)
মেয়াদের পরে কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিটার্ন ফাইল করলে জরিমানা ৫০০০ টাকা।
খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০,০০০ টাকা।
গ)
কর বকেয়া থাকলে, রিটার্ন দাখিল না-করা পর্যন্ত সুদ দিতে হবে মাসে ১ শতাংশ হারে। পরের বছর ৩১ মার্চের মধ্যেও রিটার্ন দাখিল না-করা হলে, ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে।
ঘ)
প্রাপ্য ফেরতের উপর সুদ কম পেতে পারেন।
ঙ)
কয়েক ধরনের লোকসান পরের বছরে বয়ে নেওয়া ( ক্যারি ফরোয়ার্ড) যাবে না।
চ)
দেরিতে ফাইল করা হলে, সেই রিটার্ন আর নতুন করে (রিভাইজ) ফাইল করা যাবে না।
ছ)
পরের বছর (অর্থবর্ষ ২০১৭-’১৮) থেকে রিটার্ন মেয়াদের পরে কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইল করা হলে, জরিমানা দিতে হবে ৫০০০ টাকা। এবং তারপরে ফাইল করা হলে ১০,০০০ টাকা। তবে যাঁর আয় মোট ৫ লক্ষ টাকার বেশি নয়। তাঁর ক্ষেত্রে এই মাশুল ১,০০০ টাকার বেশি হবে না।
জ)
এই সব কিছু ২০১৭-’১৮ অর্থবর্যের জন্য প্রযোজ্য।
আয়কর রিটার্নের ফর্ম
ক)
আয় ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে, ১ পাতার আইটিআর ফর্ম ফাইল করা যাবে।
খ)
যাঁদের একটি গৃহ সম্পত্তি আছে, তাঁরা আইটিআর-১ ফর্ম ফাইল করবেন।
গ)
আধার নম্বর উল্লেখ করা এখন বাধ্যতামূলক।
ঘ)
আয় বছরে ৫ লক্ষের কম এবং রিফান্ড পাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই আর যাঁদের বয়স ৮০ বছরের বেশি— এঁরা ছাড়া বাকি সবাইয়ের জন্য অনলাইন (ইন্টারনেটে) রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূলক।
অমিতাভ গুহ সরকার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy