ফাইল ছবি
রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চার জন ইঞ্জিনিয়ার-অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। দুর্ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া নিয়ে আপত্তি না থাকলেও কর্মী-এঞ্জিনিয়ারদের একাংশের অভিযোগ, ওই ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে সংস্থার প্রকৃত নিয়ম না-মেনে অন্যায় ভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদে এবং কোনও শর্ত ছাড়াই এঞ্জিনিয়ারদের সাসপেনশন প্রত্যাহার-সহ নানা দাবিতে বিদ্যুৎ ভবনের সামনে শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করে টেকনিক্যাল সুপারভাইজ়িং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন-ডব্লিউবিএসইবি। দুর্ঘটনা ঠেকাতে সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ-সহ নানা পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে তারা। সংগঠনের দাবি, সংস্থার তাদের মতোই অন্যান্য অরাজনৈতিক কিছু সংগঠনও সমাবেশে শামিল হয়।
বণ্টন সংস্থা বলেছিল, নিয়ম মেনে চার জনকে শোকজ় করা হয়েছিল। সেই জবাবের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ধরের যদিও দাবি, ‘‘সরকারের জনদরদী দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে আমরা সচেষ্ট। চাই দুর্ঘটনা আটকানোর ব্যবস্থা হোক। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখার আগেই স্টেশন ম্যানেজারদের উপরে দায় চাপানো হচ্ছে। সংস্থার নীতি প্রনয়নের দায়িত্ব তাঁদের নয়। যে ভাবে অভিযুক্তদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, সংস্থার নিয়মেও তা নেই।’’
তাঁদের বক্তব্য, পুরনো পরিকাঠামো বদল বা রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থার আর্জি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। অনুমতি পেলে তা কার্যকর করেন স্টেশন ম্যানেজার। তরুণবাবুর দাবি, বাঁকুড়ার লালবাজারে দুর্ঘটনার আগে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যাওয়া কর্মীরা গাছ কাটতে চাইলেও স্থানীয় বাধায় পারেননি। পরে যে রাতে তার ছেঁডে, সেই অভিযোগ বা তথ্য সংস্থার কাছে আসেনি। তাঁদের হুমকি, শাস্তি না ফেরালে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy