প্রতীকী ছবি।
বিদ্যুৎ না-থাকায় ফুঁসছেন রাজ্যের বহু এলাকার মানুষ। সেই সঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন মোবাইল সংযোগ সম্পূর্ণ উধাও হওয়ায় হাতে ধরা ‘অকেজো’ ফোনের দিকে তাকিয়ে। ঘূর্ণিঝড় আমপান সরে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেও। কারণ, নেট দূর অস্ত্, এখনও কথা বলার জন্য ন্যূনতম সিগন্যালটুকু নেই বহু জায়গায়। বিশেষত করোনার স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে যাঁদের, তাঁদের অভিযোগ জলহীন-বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ফোনে অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না-পারায় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে অনেককে।
টেলিকম সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, বিদ্যুৎ না-থাকাই এর কারণ। ওই সংযোগ এলেই ফিরবে সিগন্যাল। সাতটি জেলার বহু জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে লিজ় লাইন চালু হয়নি বিএসএনএলের। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের আর্জি জানিয়ে রাজ্যকে চিঠিও দিয়েছে তারা। তবে টেলি শিল্প সূত্রের দাবি, বহু জায়গায় তার ও অপটিক্যাল ফাইবার কাটা পড়াতেও মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
টেলিকম সংস্থাগুলির নিজেদের পরিকাঠামো অকেজো হলে অন্য সংস্থার পরিকাঠামো ব্যবহারের ব্যবস্থা (ইন্ট্রা সার্কল রোমিং বা আইসিআর) শুক্রবার থেকে ধাপে ধাপে চালু করেছে ঠিকই। তবু দিনভর ভুগেছেন মোবাইল, এমনকি ল্যান্ডফোনেরও বহু গ্রাহককে। এ দিন টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই অবশ্য বলেছে, রবিবারের মধ্যে ৯০% মোবাইল পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে।
ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘আজ থেকেই আইসিআর চালুর করতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আমাদের পরিকাঠামো ব্যবহারের জন্য খুলে দিয়েছি। অন্য সংস্থাগুলিও ধাপে ধাপে আমাদের সেই সুবিধা দিচ্ছে।’’
টেলিকম সংস্থাগুলির দাবি, এখনও বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ না-থাকার কারণেই বিপর্যস্ত পরিষেবা। এ দিন বিশ্বজিৎবাবুর বক্তব্য, ‘‘ঝড়ের পরে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি কেটে গেলেও, এখনও বহু সাইটে বিদ্যুৎ নেই। এক্সচেঞ্জ, টাওয়ার, ট্রান্সমিশন হাব মিলিয়ে ১৬৩টি জায়গায় অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া ১১৯টি ‘লিঙ্ক ফাইবার’ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়।’’ ফলে সমস্যা হবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy