ফাইল চিত্র।
আট মাস আগে ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যাল-টেল) চিফ জেনারেল ম্যানেজার (সিজিএম) সংস্থার টুইটার হ্যান্ডলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে সভা করেছিলেন। সেখানে গ্রাহকেরা যে সমস্ত বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, তার অর্ধেকই ছিল খাপার ল্যান্ডলাইন ঘিরে। বৃহস্পতিবার বিএসএনএলের শাখা সংস্থাটি ফের একই ধরনের সভার ডাক দিয়েছিল। সেখানে ল্যান্ডলাইনের কথা উঠেছে নামমাত্র। কিন্তু মোবাইল ফোনের দুর্বল সিগন্যাল এবং ইন্টারনেটের গতি নিয়ে এ দফাতেও ক্ষোভের আঁচ পেয়েছেন সংস্থাটির কর্তারা। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা (এফটিটিএইচ) কত তাড়াতাড়ি বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া যাবে, প্রশ্ন এসেছে তা নিয়ে। সংস্থা কবে ৪জি চালু করতে পারবে, ফের সেই প্রশ্নেও বিদ্ধ
হলেন কর্তারা।
ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, এ দিন টুইট করেছেন ১০৫ জন। তার মধ্যে ল্যান্ডলাইন সংক্রান্ত ১৪টি। মাত্র ছ’সাতটি খারাপ ল্যান্ডলাইন নিয়ে। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়ায় আমরা খুশি। ল্যান্ডলাইন পরিষেবার মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের নতুন ব্যবস্থায় ভাল সাড়া মিলেছে।’’
তবে এরই সঙ্গে ২৫টি টুইট হয়েছে এফটিটিএইচ নিয়ে। অধিকাংশই জানতে চেয়েছেন, কবে তাঁদের এলাকায় পরিষেবা মিলবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বাড়ি থেকে কাজ ও পড়াশোনার চাপ বাড়ায় চাহিদা বাড়ছে এই পরিষেবার। সিজিএম জানান, এখন তাঁরা ১১,৫০০ গ্রাহককে তা দিলেও আগামী মার্চের মধ্যে কমপক্ষে আরও ১৬ হাজার নতুন গ্রাহকের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা হবে। পাশাপাশি মোবাইল গ্রাহকদের প্রশ্ন, কবে ৪জি চালু করবে বিএসএনএল? প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের পরে সে দেশের যন্ত্র ব্যবহারে আপত্তি ওঠায় বিএসএনএলের যন্ত্র কেনার দরপত্র বাতিল হয়ে যায়। কর্তারা জানিয়েছেন, নতুন করে সেই প্রক্রিয়া সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, যত দেরি হবে প্রতিযোগিতায় ততই পিছবে বিএসএনএল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy