প্রতীকী ছবি।
করোনার ধাক্কা ও আমেরিকার তেল ভান্ডার পূর্বাভাসের দ্বিগুণের বেশি কমায় বিশ্ব বাজারে ফের বাড়ছে অশোধিত তেলের দর। বুধবার ব্রেন্ট ক্রুড এক সময়ে ছাড়ায় ব্যারেলে ৪৬ ডলার। পাঁচ মাসে সর্বাধিক। আর এটাই ভয় বাড়াচ্ছে দেশের অন্দরে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের চিন্তা, আর্থিক কর্মকাণ্ডে যখন গতি ফেরানোর চেষ্টা চলছে, তখন ভারতে আরও বাড়বে না তো পেট্রল, ডিজেলের দাম! কারণ জুন থেকে তা বেড়েছে লিটারে গড়ে প্রায় ১০ টাকা করে। অথচ অশোধিত তেল তখন এর থেকে সস্তা ছিল।
মার্চে কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক বাড়ায় তেলে। লকডাউনে ৮২ দিন অপরিবর্তিত থাকার পরে ৭ জুন থেকে তা টানা বাড়ানো হয়। জুলাইয়ে পেট্রল তেমন না-বদলালেও, ডিজেল বেড়েছে।
ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বুধবার জানান, ডিজেল লিটারে ১১ টাকার বেশি বেড়েছে। বিশ্ব বাজারে দাম বাড়ায় এখানে ফের তা বাড়লে, পণ্য পরিবহণ শিল্প চরম সঙ্কটে পড়বে। তাঁর দাবি, ‘‘ট্রাক মালিকেরা ভাড়া পাচ্ছেন না। চাহিদার ঘাটতির মধ্যে পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি সমস্যা বাড়াবে। কেন্দ্রের উচিত ডিজেলের দাম আর না-বাড়ানো।’’ তেলের দর বাড়ায় পণ্যের দাম বেড়েছে। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ও বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানের আশঙ্কা, বিশ্ব বাজারে দাম কমলেও দেশে তেলের দর বেড়েছে। এ বার বিশ্ব বাজারে দাম যখন বাড়ছে, তখন দেশে বৃদ্ধি মাত্রা ছাড়াতে পারে। তাই তাঁদেরও আর্জি দাম না-বাড়ানোর।
যদিও একাংশের মতে, সংক্রমণ বাড়ায় ফের কমতে পারে তেলের চাহিদা ও দাম। তাই অশোধিত তেল ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলা চলে না। কিন্তু অনেকে বলছেন, অভিজ্ঞতা যা, তাতে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই কাঁপুনি ধরছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy