ছবি সংগৃহীত
মানুষ ঘরবন্দি। কল-কারখানায় তালা। বিক্রিবাটা বন্ধ। গোটা এপ্রিল এমন কাটানোর ফলস্বরূপ দুর্দশার ছবিটা যেমন হওয়ার আশঙ্কা, প্রায় তেমনটাই হওয়ার ইঙ্গিত আইএইচএস মার্কিট ইন্ডিয়ার সমীক্ষায়। ক’দিন আগে এপ্রিলে দেশের কারখানায় উৎপাদন সরাসরি কমবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল তাদের রিপোর্ট। এ বার জানাল ভয়ানক মুখ থুবড়ে পড়তে পারে পরিষেবা ক্ষেত্রও। আর সেই পড়া এমন যে, মার্চের ৪৯.৩ থেকে নেমে তা (পিএমআই) সোজা ৫.৪-তে। যা সূচকটির প্রায় ১৫ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
এপ্রিলে তাদের উৎপাদন সংক্রান্ত সূচক (ম্যানুফ্যারচারিং পার্চেসিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স) দাঁড়িয়েছে ২৭.৪। সেটিও রেকর্ড পতন। এই সমীক্ষায় সূচক ৫০-এর বেশি হওয়া মানে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বৃদ্ধি। আর তার থেকে কমা মানে, সঙ্কোচন।
সমীক্ষা বলছে, অর্থনীতির ঝিমুনিতে কমছিলই। লকডাউনে বন্ধ হয়েছে পরিষেবা। ফলে কাজও গিয়েছে বিপুল। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে বলেই এপ্রিলে থমকে দিতে হয়েছে বিমান পরিবহণ, পর্যটন বা রেস্তরাঁর মতো পরিষেবাকে। ফলে এমন হওয়ারই ছিল। আইএইচএস মার্কিটের অর্থনীতিবিদ জো হায়েসের মতে, ভারতে করোনার প্রভাব মারাত্মক। এপ্রিলে জিডিপি ১৫% হারে সঙ্কুচিত হওয়ার আশঙ্কাই বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy