সবরকমের পণ্য সরবরাহ করতে চায় ই-কমার্স সংস্থাগুলি।
সাধারণ মানুষের কাছে অত্যাবশ্যক নয় এমন পণ্যসামগ্রীও পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানাল ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট এবং অ্যামাজন। করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামাল দিতে গত ২৪ মার্চ দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে ব্যবসাপাতি বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সব ধরনের পণ্য সরবরাহের অনুমতি চেয়েছে ওই দুই সংস্থা।
গত ২০ এপ্রিল বেশ কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর শনিবার নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাড়ার দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ই-কমার্স সংস্থাগুলির জন্য আগের মতোই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হয়, খাবার-দাবার, ওষুধপত্র এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়া কোনও পণ্যই সরবরাহ করতে পারবে না তারা। সে গুলি সরবরাহের সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ডেলিভারি এজেন্টদের। নিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতিও।
তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয় ওই দুই সংস্থা। অ্যামাজনের তরফে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ‘‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, সবচেয়ে নিরাপদ উপায়ে কী ভাবে গ্রাহকের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নবান ই-কমার্স সংস্থাগুলি। নাগরিকদের নিরাপত্তারক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিয়ে করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে শামিল হতে অনুমতি দেওয়া হোক ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে।’’
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে উঠবে লকডাউন? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু
আরও পড়ুন: দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছুঁইছুঁই, করোনায় মৃত্যু বেড়ে ৮৭২
ফ্লিপকার্টের দাবি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই নিরাপদে মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারবে তারা। সবরকম পণ্য সরবরাহে অনুমতি দিলে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি ব্যবসাগুলি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে বলেও জানায় তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy