প্রতীকী ছবি
কোনও ব্যাঙ্ক বলছে, অ্যাকাউন্টে যেন যথেষ্ট টাকা থাকে। ঋণের ইএমআই কাটা হবে।
কোনও ব্যাঙ্ক এসএমএস পাঠিয়ে জানাচ্ছে, অ্যাকাউন্ট থেকে তিন মাস ইএমআই কাটা বন্ধ রাখা হচ্ছে। কিস্তি কাটানো বহাল রাখতে চাইলে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কোনও ব্যাঙ্ক আবার নীরব। এপ্রিলের মাস পয়লা চলে এলেও উচ্চবাচ্য নেই। গ্রাহকরা বুঝতেই পারছেন না ইএমআই কেটে নেওয়া হবে, না কি হবে না।
করোনা রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউনের ফলে জনজীবন স্তব্ধ। এতে বহু মানুষের আয় ধাক্কা খাবে, এই আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে চিঠি লিখে বলেছিল, তিন মাসের জন্য ব্যাঙ্কগুলি ঋণগ্রহীতাদের ইএমআই বা ঋণের কিস্তি শোধ স্থগিত রাখুক। তার পরেই আরবিআই সেই অনুমতি দেয়। যার মানে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের ইএমআই, যা এপ্রিল, মে ও জুনের গোড়ায় কেটে নেওয়ার কথা, তা তিন মাস কাটা হবে না। কিন্তু মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকাল পর্যন্ত অনেক ব্যাঙ্কই এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না জানানোয়, চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয় গ্রাহকদের মধ্যে। অনেকেই ধন্দে পড়েন তাঁর ব্যাঙ্ক এই সুবিধা দিচ্ছে কি না ভেবে। কেউ কেউ বুঝতেই পারছেন না, এ নিয়ে ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে হবে কি না।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি টুইট করে ইএমআই স্থগিত রাখার কথা জানাতে শুরু করে। স্টেট ব্যাঙ্ক জানায়, ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ঋণের কিস্তি শোধ পিছনোর বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আইডিবিআই ব্যাঙ্ক বলেছে, যে সব গ্রাহকদের নগদ রোজগারে সমস্যা হয়নি, তাঁরা চাইলে রুটিন মাফিক ঋণ শোধ করতে পারেন। ইউকো ব্যাঙ্কের বার্তা, জুনে ফের ইএমআই দিতে হবে।
গ্রাহকদের বক্তব্য, জুনে একসঙ্গে তিন মাসের কিস্তি যাবে, নাকি পুরো ঋণ শোধের প্রক্রিয়াই তিন মাস পিছোবে, তা স্পষ্ট নয়। যেহেতু শুধু ইএমআই পিছোচ্ছে, তাই ঋণের উপর সুদ জমবেই। ফলে তিন মাস কিস্তি দিতে দেরি হওয়ায় বাড়তি সুদ চাপবে কি না, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে।
সরকারি ভাবে মুখ না খুললেও, ব্যাঙ্ককর্তাদের অবশ্য কিস্তি স্থগিত রাখা নিয়ে একটি আপত্তি রয়েছে। তাঁদের যুক্তি, ঋণ শোধ তিন মাস পিছোলেও ব্যাঙ্কগুলিকে এই সময় আমানতে সুদ দিতে হবে। কেউ সঞ্চয়ের অর্থ ফেরত চাইলে, মেটাতে হবে তা-ও। ফলে অনেক ব্যাঙ্কের নগদে টান পড়তে পারে। তখন করোনা প্রকোপের মধ্যে বাজারে নগদ জোগান অব্যাহত রাখতে আরবিআই যে সব পদক্ষেপ করছে, তাতে আখেরে লাভ হবে না।
তার উপরে গ্রাহকদের চিন্তার কারণ, ১ এপ্রিল থেকেই একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক মিশছে। যেমন ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স মিশছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে। ফলে প্রথম দু’টি ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা চিন্তা, তাঁদের ঋণ শোধের ব্যবস্থায় বদল হবে কি না। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের অবশ্য যুক্তি, এ ক্ষেত্রে শুধু ব্যাঙ্কের নাম বদল হবে। অন্য কোনও অসুবিধা হবে না।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy