প্রতীকী ছবি।
করোনার সংক্রমণ রুখতে তৃতীয় দফার লকডাউনের পথে দেশ। তবে যেখানে পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত ভাল, ধাপে ধাপে সেই সব জায়গায় বিভিন্ন পরিষেবা শুরু করার কথা জানাচ্ছে কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ই। এই অবস্থায় দেশের রেড জ়োনগুলিতে কেন্দ্র নেটে শুধু অত্যাবশ্যক পণ্য বিক্রির ফরমান জারি করতেই রাজ্যে ফের দানা বাঁধল ধন্দ। প্রশ্ন উঠল, রাজ্য তো সর্বত্র সমস্ত পণ্যের হোম-ডেলিভারিতে সায় দিয়েছে, যাতে ই-কমার্স বা অন্য দোকান অনলাইনে বা ফোনে বরাত নিয়ে বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দিতে পারে। নেট বাজারের জন্য কেন্দ্রের জারি করা এই নির্দেশের পরে কি সেই সিদ্ধান্তেও কিছু বদল আসবে, নাকি বহাল থাকবে আগের অনুমতিই? একাংশ বলছে, রাজ্যের রেড জ়োনগুলিতে বাড়িতে পণ্য পৌঁছতে গেলে ই-কমার্স বা সাধারণ দোকানের কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হবে কি না, সেটা স্পষ্ট নয়। যেমন স্পষ্ট নয় তাঁদের এ জন্য আলাদা পাস লাগবে কি না, সেই বিষয়টিও।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা স্পষ্ট জানান, দেশের অরেঞ্জ ও গ্রিন জ়োনগুলিতে অত্যাবশ্যক ছাড়াও অন্য পণ্য বিক্রি করতে পারবে ই-কমার্স সংস্থা। তবে রেড জ়োনে শুধু অত্যাবশ্যক। এই সিদ্ধান্তে খুশি অ্যামাজ়ন ও ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স সংস্থা। এ দিন অ্যামাজ়নের মুখপাত্রের দাবি, অরেঞ্জ ও গ্রিন জ়োনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি শুরু হলে এক দিকে উপকৃত হবেন ক্রেতারা। অন্য দিকে, ফের আয়ের মুখ দেখবেন লক্ষাধিক ছোট-মাঝারি বিক্রেতা। ফ্লিপকার্টের মুখপাত্রের বক্তব্য, ক্রেতা ও বিক্রেতার সুবিধা ও পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা, দু’টি একসঙ্গে হতে পারে এই নেট বাজারের বিক্রিবাটাতেই। যদিও দেশে নতুন নির্দেশ মেনে দ্রুত পরিষেবা চালুর কথা বললেও, রাজ্যে কবে তা হবে সেই দিন স্পষ্ট করেননি তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, কেন্দ্রের নতুন নির্দেশের পরে রাজ্যেও কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। তা কাটাতে হলে রাজ্যের ফের নির্দেশ জারি ছাড়া গতি নেই। স্পষ্ট করে বলে দেওয়া দরকার, রেড জ়োনগুলিতে অনলাইনে অত্যাবশ্যক পণ্য নাকি জরুরি নয় এমন পণ্যও বেচা যাবে।
ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিডব্লিউবিটিএ-র প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দার ও পূর্বাঞ্চলে রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সদস্য পুলকিত বেদ বলছেন, তাঁদের হোম ডেলিভারির গাড়ি ও কর্মীদের জন্য পাস মেলেনি। ফলে নির্দেশ থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন ছাড়পত্র না-দেওয়ায়, পরিষেবা শুরু করা যায়নি। এখন কেন্দ্র ফের রেড জ়োনে কম জরুরি পণ্যের বিক্রি না-করতে বলায় বিভ্রান্তি হতে পারে। তাই রাজ্য স্তরে দু’ক্ষেত্রেই নতুন নির্দেশিকার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সেই সূত্রেই সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাজ্য বিভ্রান্তি না-কাটালে একই সমস্যায় পড়তে পারে ই-কমার্স সংস্থাগুলিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy