প্রতীকী ছবি।
লকডাউনে দেশের কলকারখানার বড় অংশই থমকে। ফলে কমেছে বিদ্যুতের চাহিদা। টান পড়েছে বণ্টন সংস্থাগুলির কোষাগারে। তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কিছুটা সুরাহা দেওয়ার চেষ্টা করল কেন্দ্র। উৎপাদন সংস্থাগুলির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বণ্টন সংস্থাগুলিকে যে বিল মেটাতে হয়, শনিবার তাতে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য গুনতে হবে না জরিমানাও। বণ্টন সংস্থাগুলিকে সিকিউরিটি হিসেবে যে লেটার অব ক্রেডিট দিতে হয়, তা ৫০% করার কথাও বলা হয়েছে।
লকডাউনে বহু গ্রাহক সময়ে বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারছেন না। তাই অনেক রাজ্যই বিল মেটানোর সময় বাড়িয়েছে। ফলে বণ্টন সংস্থাগুলির কোষাগারে নগদের টানাটানি শুরু হয়েছে। সে দিকে তাকিয়েই এই সুরাহার ব্যবস্থা। বড় অঙ্কের বকেয়া থাকলেও বণ্টন সংস্থাগুলির যাতে বিদ্যুতের অভাব না-হয়, তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এ দিন বিদ্যুৎ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে। রাজ্যগুলিকেও অনুরোধ করা হয়েছে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে একই নির্দেশিকা দিতে। সংবহন সংস্থাগুলিকে বিল মেটানোর ক্ষেত্রেও তিন মাসের ছাড় পাবে বণ্টন সংস্থাগুলি। উল্লেখ্য, সংবহন সংস্থার পরিকাঠামো ব্যবহার করেই বিদ্যুৎ নিজেদের এলাকায় নিয়ে যায় তারা।
মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু লকডাউনের জেরে তা এখন নীচের দিকে। ২০ মার্চ দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬৩.৭২ গিগাওয়াট। ২২ মার্চ ‘জনতা কার্ফু’-র দিনে সর্বোচ্চ চাহিদা কমে দাঁড়ায় ১৩৫.২০ গিগাওয়াট। গত বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় আরও নীচে নেমে ১২০.৩১। বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত হওয়ায় ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জে (আইইএক্স) প্রতি ইউনিটের দামও কমতে শুরু করেছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy