ছবি: সংগৃহীত
অর্থনীতির ঝিমুনির জেরে বেহাল দশা তো ছিলই। এ বার চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। এর জেরে গাড়ি শিল্পে ফের ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ।
কেন্দ্র অর্থনীতি চাঙ্গা করার একগুচ্ছ দাওয়াই দিলেও গাড়ি বিক্রিতে আঁধার কাটেনি। উৎসবের মরসুম ছাড়া প্রতি মাসে কমেছে বিক্রি। উপরন্তু ১ এপ্রিল থেকে বিএস৬ মাপকাঠির গাড়ির দাম বিএস৪ মডেলের চেয়ে বাড়ার সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রে চাহিদা আরও ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা। তার মধ্যেও আগামী অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধের চাকা ঘোরার আশায় ছিল গাড়ি শিল্প। কিন্তু তাতে নতুন করে বাদ সাধল করোনা। ওই ভাইরাসের উৎসস্থল চিন থেকে দেশীয় সংস্থাগুলি অল্প হলেও কিছু যন্ত্রাংশ আনে। যার জোগান নিয়ে সংশয়ের জেরে গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম বুধবার সব ধরনের গাড়ির উৎপাদনই ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
দেশি-বিদেশি বেশির ভাগ সংস্থার গাড়ির অধিকাংশ যন্ত্রাংশই এখন ভারতেই তৈরি হয়। সিয়ামের প্রেসিডেন্ট রাজন ওয়াধেরা এ দিন জানান, যে সব যন্ত্রাংশ তারা চিন থেকে আনে, চিনের নববর্ষের ছুটির কথা মাথায় রেখে বছরের গোড়ায় তা আগাম মজুত করে রেখেছিল সংস্থাগুলি। কিন্তু এখন করোনার কামড়ের জন্য সেগুলির আমদানি ধাক্কা খেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব ধরনের গাড়ির উৎপাদনই আগামী দিনে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে বিকল্প বাজার থেকে সেগুলি আমদানির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে গাড়ি শিল্প। অবশ্য রাজনের দাবি, সেগুলি নিয়ম মেনে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ফলে সেই জোগান শুরু হতেও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। পাশাপাশি এ নিয়ে সরকারের সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ রাখছেন।
কামড় এ দেশে
• গাড়ির ১০% যন্ত্রাংশ আমদানি চিন থেকে।
• চিনা নববর্ষের ছুটির জন্য সংস্থাগুলি যন্ত্রাংশ মজুত করেছিল।
• এখন করোনার জেরে তৈরি হচ্ছে সংশয়।
• বিএস-৬ গাড়ি তৈরি
ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা।
ধাক্কা বিক্রিতে
• অর্থনীতির ঝিমুনিতে গাড়ির চাহিদায় ভাটা।
• এখনও কাজে লাগেনি সরকারি দাওয়াই।
• উৎসবে বিক্রি সামান্য বাড়লেও পরে ফের কমেছে।
• বিএস-৬ গাড়ির দাম বিএস-৪-এর চেয়ে বেশি হবে। ফলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy