গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে যারা ব্যবসার ক্ষেত্রে পাল্লা দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরকে কাজে লাগায় বলে শনিবার ফের তোপ দাগল কংগ্রেস। চলতি সপ্তাহে সঙ্ঘী ইন্ডাস্ট্রিজ়কে হাতে নিয়েছে আদানিদের সংস্থা অম্বুজা সিমেন্ট। বিরোধী দলের জেনারেল সেক্রেটারি জয়রাম রমেশের দাবি, এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের বিরুদ্ধে আয়কর দফতরকে কাজে লাগিয়ে তাদের অধিগ্রহণে বিমুখ করে তোলা হয়েছে। সেই সুযোগে সঙ্ঘীর মালিকানা গিয়েছে আদানিদের কাছে।
জানুয়ারিতে আদানিদের বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপি নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধীরা। গৌতম আদানির সংস্থা যদিও বরাবরই তা অস্বীকার করেছে। তবে বিভিন্ন সংস্থার মালিকানা তাদের হাতে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসের দাবি ছিল, ‘বন্ধু শিল্পপতিদের’ সুবিধা পাইয়ে দিতেই মোদী সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে।
এ বারও টুইটে ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’ প্রশ্নমালায় রমেশের দাবি, ‘‘সালতামামি দেখুন, তা হলেই বিষয়টি বোঝা যাবে। ২৮ এপ্রিল দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট সংস্থা শ্রী সিমেন্ট সঙ্ঘীকে হাতে নিতে কথা শুরু করে বলে খবর সামনে আসে। ২১ জুন আয়কর দফতর শ্রী সিমেন্টের বিরুদ্ধে পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। ১৯ জুলাই সংস্থা কেনার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ায় শ্রী সিমেন্ট। ৩ অগস্ট আদানিদের অম্বুজা সিমেন্ট সঙ্ঘীকে কেনার কথা জানায়।’’
কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, গুজরাতের সঙ্ঘীপুরমে সঙ্ঘী ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সিমেন্ট ও ক্লিঙ্কার কারখানা দেশে বৃহত্তম। সঙ্ঘীপুরম বন্দরেও আদানিদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। তাঁর কথায়, ‘‘ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে শুধু বিরোধী দল ও বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধেই কাজে লাগাচ্ছে না মোদী সরকার, তাদের ব্যবহার করে মুম্বই বিমানবন্দর, কৃষ্ণপতনম বন্দর এবং এখন সঙ্ঘী ইন্ডাস্ট্রিজ়কেও আদানিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।’’ এই তল্লাশি অধিগ্রহণ থেকে পিছোনোর কারণ নয় বলে জানাতে শ্রী সিমেন্টকে চাপ দেওয়া হতে পারে বলেও কংগ্রেসের আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy