প্রতীকী ছবি।
মরসুমের শুরুতে আশা করা হয়েছিল এ বছর কাঁচা পাটের উৎপাদন ভালই হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আমপান ও অসম-সহ অন্যান্য পাট উৎপাদক রাজ্যে অতিবৃষ্টির জেরে চাষের ক্ষতি হয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত চলতি মরসুমে চটের বস্তা উৎপাদনের জন্য কতটা কাঁচা পাট পাওয়া যাবে তা নিয়ে জুট কমিশনারের অফিস ধোঁয়াশায়।
সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কত কাঁচা পাট পাওয়া যেতে পারে, তা দ্রুত খতিয়ে দেখে জানানোর জন্য রাজ্যের কৃষি দফতরকে অনুরোধ করেছেন জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী। কারণ, এ রাজ্যের কাঁচা পাটের উপরে সারা দেশের বস্তা উৎপাদন অনেকটাই নির্ভরশীল। পুজোর আগে তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর।
উদ্বেগের কারণ
খাদ্যশস্য রাখতে ১০০% ও চিনির জন্য ২০% চটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এ বার খরিফ শস্যের ফলন ভাল হওয়ায় কমপক্ষে ২৪ লক্ষ বেল (১ বেল=৫০০ বস্তা) বস্তা লাগবে। কাঁচা পাটের জোগান কম হলে অত বস্তা তৈরি হবে কী করে!
শস্য ভরে সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে বিভিন্ন রাজ্য।
সারা দেশে পাট উৎপাদনের পরিস্থিতি বুঝতে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেছিলেন জুট কমিশনার। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ জানিয়েছে চলতি মরসুমে পাট উৎপাদন কম হবে। জোগানের সঙ্কট কাটাতে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ৩ লক্ষ বেল (১ বেল=১৮০ কেজি) কাঁচা পাট আমদানির পক্ষে সওয়াল করেছে তারা। উৎপাদন নিয়ে অনেকটা একই মত জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিএ)। তারা জানিয়েছে, ৫৫ লক্ষ বেলের মতো পাট উৎপাদন হতে পারে। অন্য দিকে, ডিরেক্টরেট অব জুট ডেভেলপমেন্ট জানিয়েছে, দেশে ৬.৯৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৯৬ লক্ষ বেলের বেশি কাঁচা পাট পাওয়া উচিত। রাষ্ট্রায়ত্ত পাট নিগমের আবার বক্তব্য, ৬৫ লক্ষ বেলের কিছু বেশি পাট পাওয়া যেতে পারে। ফলে সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy