প্রতীকী ছবি
নতুন অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের জিএসটি সংগ্রহের হিসেব সামনে আসতেই দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডের উপর লকডাউনের বিরূপ প্রভাব স্পষ্ট হল। বুধবার কেন্দ্র জানাল, এপ্রিল থেকে জুনে জিএসটি সংগ্রহ কমেছে এক বছর আগের তুলনায় ৫৯%। তবে জুনে ৯০,৯১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ হওয়াকেই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ হিসেবে দেখতে চাইছে কেন্দ্র। এই অঙ্কও আগের বছরের জুনের তুলনায় ৯% কম। এপ্রিল এবং মে মাসে ৩২,২৯৪ কোটি এবং ৬২,০০৯ কোটি আদায় হয়। জুনে পশ্চিমবঙ্গের জিএসটি সংগ্রহও ১১% কমেছে।
অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, আদায় কমার কারণ দু’টি। অতিমারির হানা ও কর জমা ও রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ছাড়। তবে গত তিন মাস ধারাবাহিক ভাবে সংগ্রহ বাড়ায় কেন্দ্র আশাবাদী। এই প্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর ফলে ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিলের রিটার্নের একাংশও জমা পড়েছে জুনে। জমা পড়েছে মে-র বহু রিটার্ন। ফলে কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে আদৌ কতটা এগোনো গিয়েছে তা মোটেই স্পষ্ট নয়। ছোট সংস্থাগুলির সংগঠন কনসোর্টিয়াম অব ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনসের আহ্বায়ক কে ই রঘুনাথনের দাবি, জুনে যে সময়কালের কর জমা পড়েছে, তাতে ১.৭৫ লক্ষ কোটি সংগ্রহ হওয়ার কথা। রাজ্যগুলির কর ক্ষতিপূরণের হিসেব কষলে কেন্দ্রের উপর চাপ আদতে বাড়বে বলেই ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞদের।
এ দিন জিএসটি ব্যবস্থার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। জিএসটি সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিএআইটি। এর মধ্যে রয়েছে কর ব্যবস্থাকে সরল সরল করা, টেকনিক্যাল অডিটে জোর এবং বিলম্বে কর জমার ক্ষেত্রে জরিমানা প্রত্যাহার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy