—প্রতীকী চিত্র।
যে গতিতে গত অর্থবর্ষ জুড়ে বেড়েছে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি), তাতে প্রত্যাশার পারদ চড়ে রয়েছে। বিশেষত বাজারের বিক্রিবাটায় মাথা তুলতে থাকা চাহিদা স্পষ্ট ধরা পড়ছে বলে যেহেতু দাবি করছে মোদী সরকারও। সকলেই এখন তাকিয়ে এই অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক, অর্থাৎ এপ্রিল-জুনের আর্থিক বৃদ্ধির দিকে। যা প্রকাশিত হবে শুক্রবার। তবে তার আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সমীক্ষায় ইঙ্গিত, এ বার তা হতে পারে এক বছরে সবচেয়ে কম। বৃদ্ধি থমকাতে পারে ৭ শতাংশের নীচে। কারণ ওই সময় ছিল লোকসভা ভোট। কেন্দ্রকে খরচ কমাতে হয়েছিল। ভোট-পর্ব শেষ হয় জুনে।
গত অর্থবর্ষের চারটি ত্রৈমাসিকেই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭% পেরিয়েছে। গত বছরের এপ্রিল-জুন থেকে শুরু করে প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকে ছিল ৮ শতাংশের উপরে। জানুয়ারি-মার্চে ছোঁয় ৭.৮%। বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতি হওয়ার তকমা ধরে রাখে ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, গত অর্থবর্ষে তৃতীয় দফায় ফের ক্ষমতায় ফিরতে চাওয়া মোদী সরকার ঢেলে মূলধনী খরচ করেছে। বেসরকারি খরচে চড়া সুদ কোপ বসালেও তাই বৃদ্ধির সাফল্য ছুঁতে সমস্যা হয়নি। অর্থনীতিবিদদের নিয়ে রয়টার্সের সমীক্ষা বলছে, দ্রুততম বৃদ্ধির দেশ হওয়ার তকমা হয়তো এপ্রিল-জুনেও বহাল থাকবে। কিন্তু ভোটের বাজারে সরকারি খরচে রাশ পড়েছে। আর তাতেই ধাক্কা লেগেছে বৃদ্ধিতে। তৈরি হয়েছে তার মন্থর হওয়ার আশঙ্কা।
এ মাসের ১৯ থেকে ২৬ তারিখে ৫২ জন অর্থনীতিবিদকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল রয়টার্স। সেখানে বেশির ভাগই এপ্রিল-জুনের বৃদ্ধি ৬.৯% হতে পারে মত দিয়েছেন। তবে একাংশের আশঙ্কা, তা হতে পারে ৬%। কেউ কেউ ৮.১ শতাংশে পৌঁছনোর আশাও করছেন। আবার স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে বৃদ্ধি হতে পারে ৭.১%। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে পূর্বাভাস ৬.০%-৮.১%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy