—প্রতীকী চিত্র।
গত পাঁচ মাস ধরে দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। কিন্তু আনাজ-সহ খাদ্যপণ্যের দাম এখনও চড়া। হালে তা আরও আগুনহয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সেরপূর্বাভাস, চড়া আনাজের চাপেই জুনে ফের মাথা তুলতে দেখা যেতে পারে খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, আশঙ্কা সত্যি হলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর সম্ভাবনা হয়তো আরও পিছিয়ে যাবে। যদিও অতীতে একাধিক বার রয়টার্সের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত সমীক্ষা মেলেনি। আগামী শুক্রবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের মূল্যবৃদ্ধির হার প্রকাশ করার কথা।
গত ৫-৯ জুলাই ৫৪ জন অর্থনীতিবিদের মধ্যে করা রয়টার্সের সমীক্ষা বলছে, গত মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি থাকতে পারে ৪.১০-৫.১৯ শতাংশের মধ্যে। গড় ৪.৮%। মে মাসে ছিল ৪.৭৫%। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অংশে তাপপ্রবাহ এবং অতিবৃষ্টির মতো চরম আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে কমেছে কৃষি ফলন। ধাক্কা খেয়েছে জোগান। তাতেই চড়েছে খাদ্যপণ্য। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৯ জন অর্থনীতিবিদ বলেছেন, খাদ্যপণ্য এবং জ্বালানি বাদে বাকি সমস্ত পণ্য ও পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধির হার (কোর ইনফ্লেশন) থাকতে পারে অপরিবর্তিত (৩.১%)। ফলে সব মিলিয়ে আনাজের দামের জেরে সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধি মাথা তুলতে পারে। ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ কণিকা পাসরিচা বলেন, ‘‘শস্য, ডাল ও আনাজের দাম বাড়ায় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়েছে। ডিম, ফল ও মশলার মূল্যহ্রাসও তাকে সামাল দিতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে,জুলাই থেকে মোবাইল খরচ বেড়েছে। যা মূল্যবৃদ্ধিকে প্রায় ২০ বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে পারে। একাংশ আবার বলছেন, আসলে কোর ইনফ্লেশন দিয়েই বাজারে কেনাকাটার অবস্থা বোঝা যায়। ফলে তা ক্রমশ কমতে থাকা আদতে চাহিদা কমার প্রতিফলন।
খুচরো বাজার
মাস খাবার আনাজ
জানুয়ারি ৮.৩ ২৭.০৩
ফেব্রুয়ারি ৮.৬৬ ৩০.২৫
মার্চ ৮.৫২ ২৮.৩৪
এপ্রিল ৮.৭ ২৭.৮০
মে ৮.৬৯ ২৭.৩৩
(২০২৪ সালের হিসাব শতাংশে)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy