প্রতীকী ছবি।
টেলিকম পরিষেবার জন্য কোন সংস্থা কী হারে মাসুল নিচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রক ট্রাই-কে জানাতে হয় তাদের। কিন্তু প্রতিযোগিতার দৌড়ে অন্যের গ্রাহক ‘ভাঙিয়ে’ নিজেদের গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে বাড়তি সুবিধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। যা প্রতিযোগিতার পরিবেশের বিরোধী এবং বাজারের ভারসাম্য নষ্ট করে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের। সম্প্রতি এমন অভিযোগ পাওয়ার পরে টেলি-সংস্থাগুলিকে ট্রাইয়ের নির্দেশ, নিয়ন্ত্রককে যে মাসুল হারের কাঠামো সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ডিস্ট্রিবিউটর বা খুচরো বিক্রেতার মাধ্যমে শুধু সেই হারেই মাসুল নিতে পারবে তারা। দেওয়া যাবে না বাড়তি সুবিধা।
সাধারণ ভাবে মাসুলের হার বাজারের উপরেই ছেড়ে দিয়েছে ট্রাই। কিন্তু সেই সুযোগে কেউ যাতে প্রতিযোগিতার নিয়ম ভেঙে অন্য সংস্থার গ্রাহকদের কোনও রকম ‘টোপ’ দিয়ে নিজেদের সংস্থায় টেনে আনতে না-পারে, সে জন্যও কিছু নিয়ম ও ব্যবস্থা রয়েছে।
অথচ সম্প্রতি বিভিন্ন টেলিকম সংস্থা ট্রাইয়ের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে যে, কোনও গ্রাহক তাঁর মোবাইল সংযোগের সংস্থা বদলাতে চাইলে (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি পরিষেবার মাধ্যমে) তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট ও বিশেষ মাসুল হারের প্রস্তাব দিচ্ছে প্রতিযোগী সংস্থা। তবে যখনই কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তখনই সেই সংস্থা তা অস্বীকার করেছে। আবার কখনও কোনও সংস্থা দাবি করেছে, এমন সুবিধার কথা তারা বলেইনি। সম্ভবত ‘চ্যানেল পার্টনার’, অর্থাৎ কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা খুচরো বিক্রেতা সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই এমন সুবিধার কথা বলেছে।
এই অবস্থায় ট্রাইয়ের নির্দেশ, তাদের কাছে যে মাসুল হার সংস্থাগুলি নথিবদ্ধ করেছে, শুধু সেগুলিই তাদের চ্যানেল পার্টনার গ্রাহকদের বলতে পারবে। এর অন্যথা হলে দায় টেলিকম সংস্থাগুলিরই। কারণ, তারাই লাইসেন্স নিয়েছে। পরিষেবা দেওয়ার জন্য চ্যানেল পার্টনারদেরও নিয়োগ করেছে তারাই। আর বিপণনের জন্য সংস্থার ‘ব্র্যান্ড’ নামই ব্যবহৃত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy