অমিত মিত্র। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধারাবাহিক ভাবে পূরণ হচ্ছে, দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অর্থ দফতরের মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র। জানালেন, এ জন্য ব্যাঙ্কগুলির ঋণদান নিশ্চিত করতে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ফলে বাংলার সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থান উন্নত হয়েছে। বাড়ছে স্বাবলম্বী নাগরিকের সংখ্যা। শুক্রবার বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারে ‘রাইজ়িং এশিয়া’ সম্মেলনে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত অর্থবর্ষে এখানে ক্ষুদ্র শিল্প ১.৪২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি নিয়েছিল ২৫,০০০ কোটি। যা লক্ষ্যের থেকে অনেক বেশি। এতেই প্রমাণ হয় পশ্চিমবঙ্গ এই ক্ষেত্রগুলিতে কত দ্রুত এগোচ্ছে।’’
অমিত জানান, এই অর্থবর্ষে ক্ষুদ্র শিল্পের ধারের লক্ষ্য বেড়ে হয়েছে ১.৫৩ লক্ষ কোটি টাকা। যার ৭৭% ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ৩০,০০০ কোটি টাকার লক্ষ্যও পূরণ হওয়ার পথে। তাঁর দাবি, ‘‘এশিয়া এগোচ্ছে, সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও। পূর্বাঞ্চলে সুযোগ বিপুল। আর এই অংশের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র হওয়ায় বাংলার উন্নতিও অবশ্যম্ভাবী। রাজ্য এটা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করেছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পর্যন্ত একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। ১৩ বছর ধরে এই কাজ করায় রাজ্যে এসেছে ইনফোসিস। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা। বিজ্ঞানেও সেরার তকমা পেয়েছে। পরিকাঠামোর নিরিখে প্রথম সারিতে।’’ অমিত জানান, রাজ্যে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে খরচ ১৩ বছরে ১৬ গুণের বেশি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৬,০০০ কোটি টাকা। যা অন্যান্য বড় রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি।
রাজ্যের এই নীতিকে অমিত ‘বটম আপ’ অর্থাৎ সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে এগিয়ে আনার চেষ্টা বলে অভিহিত করেন। সম্মেলনে বেঙ্গল চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি অনিরুদ্ধ লাহিড়ি তুলে ধরেন বিভিন্ন শিল্পে বাংলার উন্নতির খতিয়ান। শিল্পপতি সঞ্জয় বুধিয়া এবং রুদ্র চট্টোপাধ্যায় শোনান এখানে ব্যবসা করার ইতিবাচক অভিজ্ঞতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy