বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনার অন্যতম প্রস্তাব ছিল তাদের সঙ্গে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত এমটিএনএল-কে মেশানো। ফাইল ছবি।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থা বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনার অন্যতম প্রস্তাব ছিল তাদের সঙ্গে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত এমটিএনএল-কে মেশানো। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে বিএসএনএলের বিভিন্ন কর্মী সংগঠন। এ বার ১১টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ (ফোরাম) সংযুক্তির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংশয়ের কথা তুলে আগে সেগুলির সুষ্ঠু রফাসূত্র খোঁজার দাবি জানিয়ে চিঠি দিল সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ারকে। পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে সুপারিশ করতে গঠিত কেন্দ্রীয় সচিবদের নিয়ে গড়া কমিটির সামনে সংশয়গুলি তুলে ধরার আর্জিও রয়েছে তাতে।
এমটিএনএল তৈরি হয়েছিল দিল্লি, মুম্বইতে পরিষেবা দিতে। দেশের বাকি অঞ্চলের ভার বিএসএনএলের। পরে দুই সংস্থাই রুগ্ণ হয়। বিএসএনএলকে চাঙ্গা করতে ত্রাণ ঘোষণার পাশাপাশি তাতে এমটিএনএলকে মেশানোর কথা জানায় কেন্দ্র। কিন্তু ওই রুগ্ণ সংস্থার পুরো দায় নিতে চান না বিএসএনএল কর্তৃপক্ষও, দাবি করেছিল কর্মী সংগঠন বিএসএনএলইইউ। চিঠিতে ফোরামের দাবি, এমটিএনএলকে আগে শেয়ার বাজার থেকে না সরিয়ে সংযুক্তির পথে এগোলে পরে পিছনের দরজা দিয়ে পুরোপুরি সরকারি সংস্থা বিএসএনএলের বিলগ্নিকরণ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা কর্মীদের। তারা এটাও বলেছে, এমটিএনএলের ঘাড়ে প্রায় ২৮,০০০ কোটি টাকার বোঝা। এখনও আর্থিক ভাবে কমজোরি বিএসএনএলের উপর সেই দায় চাপলে তারা ফের বিপাকে পড়তে পারে। তাই তা সরকারকেই বইতে হবে। এমটিএনএল পুনরুজ্জীবনের খরচও বিপুল। তাদের বক্তব্য, বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ বলেছেন, কেন্দ্র সেই খাতে ১৮০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।
চিঠিতে আর্জি, বিএসএনএল কর্মীদের বেতন সংশোধনের বিষয়টিরও মীমাংসা হোক। কেন্দ্রের প্রাক্তন ও বর্তমান, দুই যোগাযোগ মন্ত্রীই বলেছেন পূর্বতন সরকারের ভুল নীতির জন্য রুগ্ণ হয় বিপুল লাভে থাকা সংস্থা। তাই তৃতীয় বেতন সংশোধন কমিটি যোগ্যতার যে বিধি বেঁধেছিল তা শিথিল করে বেতন সংশোধনে উদ্যোগী হোক কেন্দ্র। উদ্বুদ্ধ হবেন কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy