—ফাইল চিত্র।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি খনি হওয়ায় কয়লা আনতে খরচ কমেছে, মিলছে চটজলদি জ্বালানিও। দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালু করেছে কোল ইন্ডিয়া। আর তাতে ফলও মিলছে ভাল। এই মুহূর্তে ৫৮টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই ব্যবস্থায় কয়লা পাঠানোয় সংস্থাগুলির বছরে ৩,৭৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে বলে কোল ইন্ডিয়া সূত্রে খবর। আপাতত জ্বালানি সরবরাহের এই প্রক্রিয়ায় কোল ইন্ডিয়া ছ’কোটি ৩০ লক্ষ টন কয়লা ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে পাঠাচ্ছে।
বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, চাহিদা মতো সময়ে কয়লা পাওয়া যায় না— দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেক সময় এমনও দেখা গিয়েছে, কোনও একটি কেন্দ্রের কাছাকাছি খনি থাকলেও, কয়লা হয়তো পাঠানো হচ্ছে অনেক দূর থেকে। সেই নিয়মের জেরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে কয়লা পরিবহণের জন্য বাড়তি খরচও বহন করতে হত, আবার জ্বালানি পেতেও সময় লাগত। অনেক সময়ে প্রশ্ন উঠত কয়লার মান নিয়েও। সেই ব্যবস্থাই বদলানো হয়েছে। খনির কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি কয়লার মান, খনির দূরত্ব এবং ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন দক্ষতা, এই তিন মাপকাঠিকে মূল্যায়ন করেই কয়লা সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। গঠন করা হয় বিশেষ টাস্ক ফোর্সও। ২০১৫ সাল থেকে এই ব্যবস্থাটি চালু করা হয়।
কোল ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, প্রথম ধাপে সংস্থার গঠিত টাস্ক ফোর্স ১৯টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে চিহ্নিত করে। যার মধ্যে ডিভিসি, ডিপিএলের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম, এনটিপিসি-সহ আরও কয়েকটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ওই তালিকায় ছিল। পরবর্তীকালে তার সংখ্যা বাড়ে। আর এই ব্যবস্থায় কাছের খনি থেকে কয়লা পাঠানো হচ্ছে বলে পরিবহণ খাতে খরচ কমছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির। মিটেছে রেকের সমস্যাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy