—প্রতীকী চিত্র।
বন্ধকহীন ঋণ দেওয়ার বাড়তে থাকা পরিমাণ নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। বলেছিল, এই ধরনের ধার শোধ না হলে ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। তাই সেগুলি যাতে অনাদায়ি না হয়, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়াতে হবে। এ বার সেই লক্ষ্যে সরাসরি ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে নজরদারির নিয়ম আরও কঠোর করল আরবিআই। যাতে ঝুঁকি কমে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসিগুলিকে শীর্ষ ব্যাঙ্কের নির্দেশ, ব্যক্তিগত ঋণে ঝুঁকি বুঝে যতটা অর্থ তাদের সরিয়ে রাখতে হয়, সেই রিস্ক ওয়েটেজ ২৫ শতাংশ বিন্দু বেড়ে হচ্ছে ১২৫%। তবে এই নিয়ম গৃহ, গাড়ি, শিক্ষা ও সোনা বা গয়না বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণে প্রযোজ্য নয়। আদায় না হওয়া ঋণেও (ক্রেডিট রিসিভেব্লস) এই ঝুঁকির গুরুত্ব ২৫ শতাংশ বিন্দু বাড়িয়ে ১৫০% করা হয়েছে। বেড়েছে এনবিএফসি-কে দেওয়া ঋণের রিস্ক ওয়েটেজও।
অতিমারি কাটিয়ে অর্থনীতি ছন্দে ফিরেছে। কেনাকাটা বাড়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিও আগ্রহীদের বন্ধকহীন ঋণ দিতে আগ্রহী হচ্ছে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন মহল। এই ঋণে ব্যাঙ্কের ঝুঁকি বাড়লে আমজনতাও অসুরক্ষিত হয়ে পড়বেন বলে দাবি করে একাংশ।
সম্প্রতি উপদেষ্টা সংস্থা ইউবিএস বলেছে, এ বছর ২৫ অগস্টের হিসাবে দেশে ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া পৌঁছেছে ২.১৮ লক্ষ কোটিতে। ব্যক্তিগত ঋণে তা বেড়েছে ২৬%। ধার বাকি সত্ত্বেও ফের ঋণ নেওয়ার সংখ্যা ২৩%। একাধিক খুচরো ঋণ থাকা গ্রহীতার সংখ্যা ৯.৩%। অসুরক্ষিত ঋণ নিয়ে সতর্ক করেছে মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রাও।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্যেও প্রকাশ, সেপ্টেম্বরে ব্যক্তিগত ঋণের অঙ্ক গত বছরের থেকে ৩০% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। যে কারণে ঋণনীতিতে গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের পরামর্শ ছিল, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের নজরদারি আরও শক্তপোক্ত করুক, জোর দিক ঝুঁকি চিহ্নিত করায় এবং তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা তৈরিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy