প্রতীকী ছবি।
চলতি অর্থবর্ষে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭.৫২ লক্ষ কোটি টাকা। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এর পরেই জমতে শুরু করেছে আশঙ্কার মেঘ। প্রশ্ন উঠছে, কর আদায় যদি ১১.৭ লক্ষ কোটির লক্ষ্য না-ছোঁয়, তা হলে রাজকোষ ঘাটতি আদৌ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখা সম্ভব হবে কি? ইতিমধ্যেই বাজেটে যে সীমা বাড়াতে হয়েছে কেন্দ্রকে।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, কর আদায় ঝিমিয়ে থাকায় এমনিতেই এ বছরে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত আদায়ের যা ছবি, তাতে সেই নতুন লক্ষ্যও ছোঁয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কারণ, ব্যবধান এখনও ৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। যা শেষ দু’মাসে পূরণ করতে হবে। ঠাকুর অবশ্য জানিয়েছেন, আগাম করের শেষ কিস্তি মার্চে জমা পড়বে। সুতরাং, চলতি অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের শেষ ছবিটা কী দাঁড়াবে, তা বলার সময় এখনও আসেনি।
প্রত্যক্ষ করের মধ্যে থাকে আয়কর ও কর্পোরেট কর। অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরাতে কয়েক মাস আগে কর্পোরেট করের হার ছাঁটাই করেছে কেন্দ্র। অনেকের বক্তব্য, ওই অংশের সংগ্রহ এখনই বাড়ার সম্ভাবনা কম। আর কর সংগ্রহ যদি সংশোধিত লক্ষ্য না-ছুঁতে পারে, তা হলে ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখায় সমস্যা হবে। তা ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৩.৮% করার পরেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy