Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

চাকরি কত, এ বার গুনতে বসছে কেন্দ্র

কেন্দ্র বলছে, কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে পরিসংখ্যান নেই। বিরোধীরা বলছেন, আদতে যথেষ্ট কাজ তৈরিই হয়নি গত পাঁচ বছরে। আর যতটুকু পরিসংখ্যান আছে তা-ও ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা
  নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৯ ০১:২৫
Share: Save:

কেন্দ্র বলছে, কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে পরিসংখ্যান নেই। বিরোধীরা বলছেন, আদতে যথেষ্ট কাজ তৈরিই হয়নি গত পাঁচ বছরে। আর যতটুকু পরিসংখ্যান আছে তা-ও ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এই অস্বস্তি কাটাতেই এ বার ব্যবসার সংখ্যা ও কাজের হিসেব কষতে নামছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ মাসের শেষে বা জুলাইয়ের শুরু থেকেই সপ্তম আর্থিক শুমারির কাজ শুরু করবে তারা। বছরের শেষে প্রকাশ করা হতে পারে প্রাথমিক ফল।

বিপুল আসন পেয়ে ভোট বৈতরণী পার করেছেন মোদী। কিন্তু তিনি নিজেও জানেন অর্থনীতির হাল সুবিধার নয়। গত অর্থবর্ষে গোঁত্তা খেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধি। বেকারত্বের হার যে ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তা স্বীকার করে নিয়েছে খোদ কেন্দ্র। অনেকে বলছেন, ভাল-মন্দ যে হিসেবই সামনে আসুক না কেন কাজের সমীক্ষা করানোর ঠিক সময় এটাই। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য অনেকটা সময় পাওয়া যাবে।

কোনও সংস্থা যদি কিছু উৎপাদন করে, বিক্রি করে বা পরিষেবা দেয়, তা হলে সেটি আর্থিক শুমারির আওতায় আসে। সেটি বড় কারখানা হতে পারে, নিজের বাড়িতে মেশিন বসিয়ে বা হাতে কিছু তৈরি করলেও হতে পারে। এমনকি বাড়ির বারান্দায় দোকান দিলেও তা আসবে সমীক্ষার আওতায়। সে ক্ষেত্রে কত জন কাজ করছেন ও কত জন স্বনির্ভর, সব কিছুরই স্পষ্ট ছবি মিলবে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতে আসার আগে বছরে দু’কোটি কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। গত পাঁচ বছরে তা কতটা পূরণ হল তা-ও স্পষ্ট হতে পারে। শুমারির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিসংখ্যান মন্ত্রকের বক্তব্য, দেশের কোন জায়গায় কী ধরনের আর্থিক কর্মকাণ্ড চলছে তা জানা যাবে এই সমীক্ষায়। কর্মসংস্থান তো বটেই, দেশের মোট পণ্য উৎপাদন, জাতীয় আয় নিয়েও স্পষ্ট পরিসং‌খ্যান মিলবে।

এত দিন শিল্পের যে বার্ষিক সমীক্ষা করা হত, তাতে শুধু কারখানার ছবি ধরা পড়ত। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, অসংগঠিত ক্ষেত্রেও অনেক কর্মসংস্থান হচ্ছে। কিন্তু তার হিসেব নেই। এই আর্থিক শুমারিতে সেই সংক্রান্ত তথ্যও থাকবে। মন্ত্রক সূত্রের খবর, কর্মসংস্থান নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক না কেন, আর্থিক শুমারির জন্য অনেক কাজের সুযোগ তৈরি হবে। কারণ গোটা কর্মকাণ্ডে প্রয়োজন হবে তিন লক্ষ পরিদর্শক, ন’লক্ষ কর্মী।

তথ্য বিতর্ক
বছরে ২ কোটি কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
বিভিন্ন মন্ত্রক নানা হিসেব দিলেও সাফাই দিয়েছে তথ্যের অভাবেরও।
কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের গ্রাহক বৃদ্ধিকেও নতুন কাজের হিসেব বলে দাবি করেছে কেন্দ্র।
কাজের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।

আর্থিক শুমারি

কাজ শুরু হবে জুনের শেষ বা জুলাইয়ের শুরুতে।
দেশে কতগুলি শিল্প বা বাণিজ্যিক সংস্থা রয়েছে, তাতে কতজন কর্মী রয়েছে তার হিসেব কষা হবে।
সমীক্ষায় থাকবে না কৃষি
ও কৃষির সঙ্গে যুক্ত কাজ।
শেষ আর্থিক শুমারি ২০১৩ সালে। সংস্থার সংখ্যা ছিল ৫.৮৫ কোটি। কর্মী ১৩.১ কোটি।

অন্য বিষয়গুলি:

Economy Finance Employment Central Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy