প্রতীকী ছবি।
কার্যত সুপার মার্কেট থেকে গাড়ির পেট্রল-ডিজেল বিক্রির রাস্তা খুলে দিল মোদী সরকার।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, কোনও সংস্থার নিট সম্পদের মূল্য ২৫০ কোটি টাকা হলেই পেট্রল পাম্পের ডিলারশিপ নিয়ে তেল বেচতে পারবে। যার অর্থ, সুপার মার্কেটেও বিক্রি করা যাবে পেট্রল-ডিজেল। আর এর হাত ধরেই আদানি গোষ্ঠী বা ফরাসি সংস্থা টোটাল থেকে সৌদি অ্যারামকো মতো নতুন সংস্থা—পাম্প খোলার পথ খুলল সকলের সামনে।
এত দিন পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রে অন্তত ২,০০০ কোটি টাকার লগ্নি বা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি থাকলে পাম্প খুলতে পারত কোনও সংস্থা। ফলে যে রাষ্ট্রায়ত্ত বা বেসরকারি তেল সংস্থার শোধনাগার আছে, তারাই নামত এই ব্যবসায়। এ বার সেই শর্তই শিথিল হল অনেকখানি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘অন্তত ৫% আউটলেট গ্রামীণ বা সরকারের ঘোষিত প্রত্যন্ত এলাকায় খুলতে হবে।’’
কেন্দ্র অবশ্য আরও শর্ত রেখেছে। যেমন, পেট্রল-ডিজেল ছাড়াও সংস্থাকে অন্তত একটি বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। সিএনজি, এলএনজি, জৈব-জ্বালানি বা ব্যাটারি চালিত গাড়ির চার্জিংয়ের বন্দোবস্তও হতে পারে। ইতিমধ্যেই টোটাল তেল বিপণনের জন্য চুক্তি করেছে আদানিদের সঙ্গে। ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম ও রিলায়্যান্স ইন্ড্রাস্ট্রিজ়ও গাড়ির জ্বালানি ও ইলেকট্রিক চার্জিং বিপণনের জন্য ঘোষণা করেছে যৌথ প্রকল্প। কেন্দ্রের আজকের সিদ্ধান্তে উপকৃত হবে তারা।
গত বছর পুরনো নীতি অনুযায়ী তেল সংস্থা ট্রাফিগারা-র বিপণন লাইসেন্সের আর্জি খারিজ করেছিল কেন্দ্র। ওই সংস্থা ও রসনেফ্ট মিলে এসার অয়েলের মালিকানা কিনেছে। নতুন নিয়মে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা একই সঙ্গে একাধিক তেল সংস্থার ডিলারশিপ নিতে পারবে। তবে একই জায়গায় একাধিক সংস্থার জ্বালানি বিক্রি করা যাবে না। সরকারের যুক্তি, এতে ভর করে তেল বিপণনে নতুন লগ্নি, প্রযুক্তি, প্রতিযোগিতার দেখা মিললে লাভবান হবেন ক্রেতা। বাড়বে কাজও।
গত মে মাসের হিসেব, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশে ৬৪ হাজারের বেশি পেট্রল পাম্প রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পেট্রলের চাহিদা বেড়েছে ৮%। ডিজেলের ৩%। বিমান জ্বালানির প্রায় ৯%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy