প্রতীকী ছবি।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণ খাত থেকে ২.১০ লক্ষ কোটি টাকার বিপুল পুঁজি রাজকোষে আনতে চাইলেও, অতিমারির জেরে কেন্দ্রের সেই লক্ষ্যমাত্রা মুখ থুবড়ে পড়েছে। কিন্তু অর্থবর্ষের শেষ দিনে বুধবার সরকার জানাল, সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা পার করতে পেরেছে তারা।
অর্থবর্ষের শুরুতে মোদী সরকারের লক্ষ্য ছিল, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভারত পেট্রোলিয়ামের বেসরকারিকরণের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রার বড় অংশ চলে আসবে। সেই সঙ্গে ছিল আইডিবিআই ব্যাঙ্কে সরকারের অবশিষ্ট অংশীদারি বিক্রি এবং জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) বিলগ্নিকরণের পরিকল্পনাও। কিন্তু লকডাউনের জেরে অর্থনীতি কার্যত থমকে যাওয়ায় সেই সমস্ত প্রক্রিয়া বারবার পিছিয়ে দিতে হয়। শেষ পর্যন্ত সরকারের লক্ষ্য, নতুন অর্থবর্ষেই কৌশলগত বিলগ্নিকরণ হবে সংস্থাগুলির। এ দিন বিনিয়োগ ও সরকারি সম্পদ পরিচালনা দফতরের সচিব তুহিনকান্ত পাণ্ডে জানান, বিলগ্নিকরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২,০০০ কোটি টাকা। তবে অর্থবর্ষের শেষে ৩২,৮৩৫ কোটি হাতে এসেছে। আর ডিভিডেন্ড বাবদ আয় হয়েছে ৩৯,০২২ কোটি। ফলে এই দুই খাত থেকে কেন্দ্রের রাজকোষে এসেছে ৭১,৮৫৭ কোটি টাকা।
এই অবস্থায় অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিপুল খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, খরচ বাড়ানোর জন্য ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১২.০৫ লক্ষ কোটি টাকা ধার করা হবে। এ দিন আর্থিক বিষয়ক সচিব তরুণ বিজয় জানিয়েছেন, বছরের প্রথমার্ধে ধার করা হবে ৭.২৪ লক্ষ কোটি।
তবে ফেলে আসা অর্থবর্ষে লগ্নিকারীদের হাত ভরিয়ে দিয়েছে শেয়ার বাজার। অতিমারির শুরুতে গত বছরের মার্চে সেনসেক্স ২৫ হাজারের ঘরে নেমেছিল। কিন্তু ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ওই সূচক ৬৮% (২০,০৪০.৬৬ পয়েন্ট) বেড়েছে। লগ্নিকারীদের মোট সম্পদ বেড়েছে ৯০.৮২ লক্ষ কোটি টাকার। বিপুল ভাবে মাথা তুলেছে মাঝারি ও ছোট মাপের স্টকগুলিও। বছরের শেষ দিনে অবশ্য ৬২৭.৪৩ অঙ্ক পড়ে সেনসেক্স ৫০ হাজারের নীচে নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy