—প্রতীকী ছবি।
এ বছর জুনে দেশ বিদ্যুতের ঘাটতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রের এক আধিকারিক। যদিও তা উড়িয়ে শনিবার সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই গ্রীষ্মে বিশেষত মে এবং জুন মাসে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এপ্রিলে সর্বোচ্চ ২২৪ গিগাওয়াট চাহিদা পূরণ করা গিয়েছে বলেও দাবি মোদী সরকারের। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, গত কয়েক বছরে বিদ্যুতের জোগানের অভাবে লোডশেডিং-এর কবলে পড়েছিল দেশ। ভুগেছিলেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল ক্ষোভও। এ বছর লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে তৎপর কেন্দ্র তাই আগেভাগেই ঘাটতি না হওয়ার বার্তা দিতে চাইছে।
প্রসঙ্গত, এ বছরে প্রবল গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহের জেরে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা রেকর্ড গড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অথচ সেই মতো জোগান না থাকায় জুনে তার ঘাটতি ১৪ বছরে সর্বাধিক হতে পারে বলে আশঙ্কা খোদ সরকারি মহলের। শুক্রবার সরকারি সূত্রের খবর ছিল, জুন মাসে রাতের দিকে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ঘাটতি ১৪ গিগাওয়াটে পৌঁছতে পারে। সন্ধ্যাবেলা ও রাতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকা এবং জল বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রত্যাশা অনুসারে না হওয়ার জেরে সব মিলিয়ে ঘাটতি মাত্রা ছাড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।
আজ সরকারি বিবৃতিতে যদিও দাবি, এ বছর মে মাসে দিনের বেলা ২৩৫ গিগাওয়াট, সন্ধ্যায় ২২৫ গিগাওয়াট এবং রাতে ২৪০ গিগাওয়াট বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকতে পারে। আর জুনের ক্ষেত্রে সন্ধ্যাবেলা তা পৌঁছতে পারে ২৩৫ গিগাওয়াটে। সব মিলিয়ে অবশ্য এ বার গ্রীষ্মে ২৬০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগবে বলে ধারণা। সেই সমস্ত চাহিদা মেটানোর জন্যই বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বিবৃতি জানাচ্ছে, তাপ বিদ্যুতের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ আইন ২০০৩-এর ১১ নম্বর ধারা অনুসারে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে মে-জুন মাসে পুরোদমে উৎপাদন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপান বাড়িয়ে বাড়তি ৪ গিগাওয়াট জোগাড় করা, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পিছিয়ে বর্ষায় শেষ করা ও সেগুলি হঠাৎ বন্ধ হওয়া আটকানো এবং গ্রীষ্মে ওই সব কেন্দ্রে উৎপাদনে জোর দিয়ে ৫ গিগাওয়াট অতিরিক্ত উৎপাদনের মতো পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। বায়ু বিদ্যুতের ক্ষেত্রে উৎপাদন ক্ষমতা ৫ গিগাওয়াটে নিয়ে যাওয়া যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই সমস্ত পদক্ষেপের হাত ধরে মে-জুনে দিন-রাতের বিদ্যুতের চাহিদা মিটবে বলে ধারণা কেন্দ্রের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy