—ফাইল চিত্র।
লকডাউনের ধাক্কায় ব্যবসা-পত্তর থমকে যাওয়ার ফলে এপ্রিল-জুনে দেশের জিডিপি এক বছর আগের তুলনায় সরাসরি ২৩.৯% সঙ্কুচিত হয়েছে। জীবন-জীবিকা যখন অনিশ্চিত, তখন সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়েছে খুচরো বাজারে মাথা তোলা মূল্যবৃদ্ধির হার। কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন অবশ্য ভরসা দিলেন, স্থানীয় লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাল মিলিয়ে কমবে মূল্যবৃদ্ধিও। কারণ, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায়। ফলে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে নামবে তার হারও।
তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করাচ্ছে, স্থানীয় লকডাউনও বহু জায়গায় শিথিল হতে শুরু করেছে। পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে সরকার ছাড় দেওয়ার কথাও বলেছে। তবু প্রায় সব বাজারের দাম এখনও ছেঁকা দিচ্ছে ক্রেতার পকেটে। বিশেষত ডাল, আনাজ, মাছ, মাংসের মতো খাদ্যপণ্য। শুধু তা-ই নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের বার্ষিক রিপোর্টে সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকের আগে মূল্যবৃদ্ধির মাথা নামানোর সম্ভাবনা কম। তার মানে, দামের চাপ কমতে গড়িয়ে যেতে পারে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ। তবে করোনার দাপটে জোগান চোট খাওয়ার কারণেই যে মূল্যবৃদ্ধি মাথা তুলেছে, সে কথা বলেছে শীর্ষ ব্যাঙ্কও।
খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হারকে ৪ শতাংশের (২% কম-বেশি) আশেপাশে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু জুনে সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তা ৬.০৯ শতাংশে পৌঁছে যায়। আর জুলাইয়ে তা আরও বেড়ে হয় ৬.৯৩%। ঠিক সেই কারণেই গত অগস্টের ঋণনীতিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ কমায়নি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, তৃতীয় ত্রৈমাসিক পর্যন্ত খুচরো মূল্যবৃদ্ধির খুব বেশি নামার সম্ভাবনা কম। এমনকি স্থানীয় লকডাউন আরও শিথিল হলেও।
পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি অবশ্য দীর্ঘ দিনই শূন্যের আশেপাশে। জুলাইয়ে তা ছিল ০.৫৮%। সুব্রহ্মণ্যনের বক্তব্য, ‘‘খুচরো এবং পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধির পার্থক্যের পিছনে মূলত রয়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা। সেই ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়াতেই মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা তুলেছিল। স্থানীয় লকডাউন কমে আসার ফলে সরবরাহ ব্যবস্থা মসৃণ হয়ে আসবে। তখন মূল্যবৃদ্ধিও কমতে শুরু করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy