প্রতীকী ছবি।
আর পাঁচটা ব্যবসার মতো জুলাইয়ে দেশের পাইকারি বাজারে গাড়ির বিক্রিও কিছুটা বাড়ল। অর্থাৎ সংস্থার থেকে ডিলাররা আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ বার বেশি গাড়ি কিনেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পেরিয়ে এবং তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যে দাঁড়িয়ে গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের এই হিসেব আপাতদৃষ্টিতে স্বস্তির। তবে এপ্রিল-জুলাইয়ের হিসেবে নিমেষে তা উধাও। কারণ, সিয়ামের দাবি, ওই চার মাসে বেশিরভাগ গাড়ির বিক্রিই চার-পাঁচ বছর, এমনকি দশ বছর আগের থেকেও কম।
সিয়াম বৃহস্পতিবার জানায়, গত মাসে ৪৫% বেড়েছে যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি। স্কুটার এবং তিন চাকার বিক্রিও বেড়েছে। তবে ৬% কমেছে মোটরসাইকেল। বিশেষজ্ঞদের মতে, দু’চাকার বড় বাজার গ্রামাঞ্চলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কামড় এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া, গত বছরে লকডাউন ওঠার পরে মোটরসাইকল বিক্রি অনেকটা বেড়েছিল। বাকিগুলির বিক্রি কম হওয়ায় সেই নিচু ভিতে এ বারের বিক্রি বৃদ্ধি উঁচু দেখাচ্ছে।
সিয়ামের ডিজি রাজেশ মেনন বলেন, ‘‘এপ্রিল-জুলাইয়ের হিসেবে যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি ২০১৬-১৭ সালের থেকেও কম। দু’চাকার ক্ষেত্রে কম ২০১০-১১ সালের থেকে। আর তিন চাকার বিক্রি তো পিছিয়ে গিয়েছে আরও বহু বছর।’’ সেই সঙ্গে সেমি-কন্ডাক্টরের ঘাটতি এবং যন্ত্রাংশের চড়া দরের সমস্যার কথা জানান তিনি। এ দিন বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন ও পরিকাঠামো তৈরির নীতিতে রাজ্যকে সাহায্য করতে ‘হ্যান্ডবুক’ প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy