প্রতীকী ছবি।
ঠিকাদার নিয়োগের নতুন পদ্ধতি ঘিরে বিএসএনএলের ক্যালকাটা টেলিফোন্সে (ক্যাল-টেল) জট কিছুটা কাটলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও বহু গ্রাহকের অভিযোগ, তাঁদের ল্যান্ডলাইন বহু দিন খারাপ। এই অবস্থায় পুরনো নিয়মে বহাল ঠিকাকর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের বেতন বাকি প্রায় এক বছর। আর ক্যাল-টেলের দাবি, বিএসএনএলের সদর দফতর বেতন ৫-৬টি কিস্তিতে মেটাতে রাজি। তবে শর্ত, নতুন নিয়ম মেনে ক্লাস্টারের কাজে ঘেরাও-আন্দোলন করে বাধা দেওয়া যাবে না। কারণ পরিষেবা দিয়ে আয় হলে তবেই সংস্থা পরিচালনার অর্থের সঙ্কুলান সম্ভব। বেতনও দেওয়া যাবে। নষ্ট লাইন দ্রুত সারানো হলে হয়রানি কমবে মানুষের। ক্যাল-টেলের দাবি, যেখানে কাজ স্বাভাবিক হচ্ছে, সেখানে ওই শর্তে বকেয়া মেটানো শুরু হয়েছে।
মূলত ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ডের মতো পরিষেবার সময় বেঁধে মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের নয়া নিয়ম দেশে চালু করেছে বিএসএনএল। কিন্তু সংস্থার অভিযোগ, ক্যাল-টেল এলাকায় পুরনো ঠিকা কর্মীদের আন্দোলনে তা থমকে যায়। যদিও ঠিকাকর্মীরা বকেয়া বেতনের সঙ্গে নানা দাবি তুলেছেন।
ক্যাল-টেলের পিজিএম প্রদীপ গুপ্ত ঠিকাকর্মীদের ইউনিয়নগুলিকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে চিঠিতে নতুন নিয়ম চালু করতে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, নতুন ঠিকাদার পুরনো কর্মীদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাঁদের পিএফ, ইএসআই দেওয়া হচ্ছে। পুরনো কর্মীদের বকেয়া বেতন দ্রুত মেটাতে সদর দফতরকে আর্জিও জানানো হয়েছে। তার পরেই এসেছে বকেয়া চোকাতে নির্বিঘ্নে ক্লাস্টারের কাজ এগোতে দেওয়ার শর্ত। কারণ তাদের দাবি, ভাঁড়ারে পরিচালনার অর্থ জমা থাকে না। গ্রাহকেরা বিল মেটালে, সেই আয় থেকেই অর্থের সংস্থান হয়। অথচ লাইন খারাপ থাকলে বিলে ছাড় দিতে গিয়ে আয় ধাক্কা খায়। এলাকা ধরে সংস্থাটির সদর দফতর পরিস্থিতি নজর রাখছে। কর্মীদের পাশাপাশি ঠিক মতো বিল দিলে ও নতুন নিয়ম চালু হলে পুরনো ঠিকাদারেরাও তাঁদের বকেয়া পাবেন, আশ্বাস ক্যাল-টেলের।
অন্য দিকে, ঠিকাকর্মীদের বকেয়া বেতন-সহ নানা দাবিতে ২৫ ও ২৬ অগস্ট রিলে অনশনের ডাক দিয়েছে বিএসএনএল ক্যাজ়ুয়াল কন্ট্র্যাক্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন। স্থায়ী কর্মীদের জুলাইয়ের বেতন দ্রুত না মেটালে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএসএনএল এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy