—ফাইল চিত্র।
আর্থিক সঙ্কট, পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের পরে কর্মী সংখ্যা হ্রাস, স্পেকট্রামের অভাবে ৪জি পরিষেবা চালু না হওয়া— বিএসএনএলের অন্যান্য শাখার মতো এমন নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছিল ক্যালকাটা টেলিফোন্স-ও (ক্যাল-টেল)। দু’একটি জট এখনও থাকলেও, সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি দীর্ঘ দিন বাদে গত অর্থবর্ষে আর্থিক ও পরিষেবার উন্নতি হয়েছে। যেমন, ২০১৯-২০ সালের চেয়ে করোনার মধ্যেও গত অর্থবর্ষে সার্বিক আয় বেড়েছে। খারাপ ল্যান্ডলাইনের সংখ্যা গত জুলাইয়ের প্রায় ৬২,০০০ থেকে এখন নেমেছে ৩০০০-এর নীচে। সংস্থার সেই ছবি বুধবার সব কর্মী সংগঠনের সামনে তুলে ধরে সেই সাফল্যে তাঁদের অংশীদারিকেও স্বীকৃতি দেন কর্তৃপক্ষ।
নানা জটিলতায় গত বছর ক্যাল-টেলের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। পরিষেবার অভাবে ভুগতে হয় বহু গ্রাহককে। সংস্থা সূত্রের খবর, গত অর্থবর্ষের শেষে সংস্থার প্রাথমিক হিসেব চাকা ঘোরার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে সেই সাফল্যে কর্মী সংগঠনগুলিকেও এ ভাবে কৃতিত্ব দেওয়ার পদক্ষেপ এই প্রথম।
পরে ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, ২০১৯-২০ সালের চেয়ে ২০২০-২১ সালে তাঁদের আয় ৪১৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩৮.৪ কোটি। এর মধ্যে মোবাইলে আয় ১৩২ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭৯ কোটি। এন্টারপ্রাইজ় বিজনেস থেকে আয় ৭৯ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৮ কোটি। তবে কমেছে ল্যান্ডলাইন ব্যবসার আয়। নানা পদক্ষেপে সংস্থার খরচও ৯৪০ কোটি থেকে কমে হয়েছে ৪৩৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সুদ, কর ইত্যাদি মিটিয়ে সংস্থা দীর্ঘ দিন বাদে মুনাফার মুখ দেখবে বলে আশা তাঁদের। তিনি বলেন, ‘‘কঠিন সময়ের মধ্যে এই পরিবর্তনের ভাগীদার কর্মীরাও। ভবিষ্যতেও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।’’
কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন লাইন খারাপের অভিযোগ জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্য ৬২ শতাংশই মেরামত করা হচ্ছে। তাঁদের লক্ষ্য, তা ৯৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে বিশ্বজিৎবাবু জানান, পুরনো ঠিকা কর্মীদের বকেয়া বেতন দ্রুত মেটানো, কর্মীদের জন্য প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করা, খারাপ হয়ে পড়ে থাকা পুরনো জিনিস বাতিল করা, আর্থিক সুবিধা-সহ সংস্থার কাজের প্রচার ইত্যাদির জন্য এ দিন আর্জি জানিয়েছে সংগঠনগুলি। পুরনো ঠিকাদারের ঠিকা কর্মীদের বকেয়া বেতনের বিল জমা দিলেই তা দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy