প্রতীকী চিত্র।
কারও বাড়ির ফোন দীর্ঘদিন অচল। অথচ বিল আসছে নিয়মিত। অনেকের অভিযোগ, মোবাইলের সংযোগ খারাপ। কেউ বাড়িতে অপটিক্যাল ফাইবারের ইন্টারনেট সংযোগের জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে। কারও ক্ষোভ এখনও ৪জি না-আসা নিয়ে। বুধবার টুইটারে বিএসএনএলের শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যাল-টেল) সিজিএম বিশ্বজিৎ পালের সভায় এ সবই উঠে এল গ্রাহকদের কথায়। তবে এগুলিকে অভিযোগ নয়, সদর্থক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। উল্টে বলছেন, লাইন খারাপ থাকলেও অধিকাংশ গ্রাহকের বিএসএনএল না-ছাড়ার অর্থ, সংস্থার প্রতি তাঁদের আস্থা অটুট।
এর আগে বিএসএনএলের প্রাক্তন সিএমডি ও কলকাতার প্রাক্তন এক সিজিএম আলাদা ভাবে টুইটারে গ্রাহকদের মুখোমুখি হতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। এ দিনও সেই আশঙ্কা ছিল। সৌমেন দে, রূপম ভৌমিক, সঞ্জয় সরকার, বনশ্রী চন্দ্রদের অভিযোগ, মাসের পর মাস লাইন খারাপ। হীরকজ্যোতি কুণ্ডু বলেন, অনলাইনে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের জবাব, উন্নত পরিষেবার জন্য মেরামতির নয়া নিয়ম চালু হলেও, পুরনো ঠিকা-কর্মীদের একাংশের বাধায় কাজ আটকে যাচ্ছে। বিশ্বজিৎবাবুর আশ্বাস, ‘‘আবেদন জানালে বিলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’’
ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ড নিয়ে খুশি হলেও সৌম্যদীপ্ত নাথ শর্মার মতে, মোবাইল পরিষেবা খারাপ। ৪জি চালু না-হওয়াতেও ক্ষুব্ধ সৌম্যদীপ্ত, শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়রা। কর্তৃপক্ষ অবশ্য স্পেকট্রাম না-পাওয়া এবং সরকারি নীতির বদলকেই এর জন্য দায়ী করেছেন। আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে। দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ডের জন্য প্রথমে বিএসএনএল বাড়ি পর্যন্ত ফাইবার সংযোগ দেওয়া চালু করলেও, পরে কার্যত তা থমকে যায়। সেই পথে নামে রিলায়্যান্স-জিয়ো। পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়, টি কে ভট্টাচার্যদের আক্ষেপ, বিএসএনএলের পরিষেবাটি নিতে চাইলেও, সংস্থা সাড়া দিচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বজিৎবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy