আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের পুনরুজ্জীবনের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। বাজারে জল্পনা, তা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে টেলিকম দফতর (ডট)। কিন্তু কর্মী-অফিসারদের দাবি, এ নিয়ে এখনও তাঁদের সঙ্গে আলোচনাই করেনি ডট। পাশাপাশি ৫০ বছরের বেশি বয়সি কর্মী-অফিসারদের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের (ভিআরএস) প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে প্রায় ৭০% কর্মীই এর আওতায় আসবেন।
বিএসএনএলের অফিসারদের সংগঠন এআইবিএসএনএলইএ এবং সঞ্চার নিগম এগ্জ়িকিউটিভস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, কেন্দ্রের মন্ত্রিগোষ্ঠীর সুপারিশের ভিত্তিতে ডট দুই সংস্থার পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের সংশোধিত ক্যাবিনেট মেমো চূড়ান্ত করেছে। টেলিকমমন্ত্রীর সায়ের পরে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার পরে তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত সায়ের জন্য পাঠানো হবে। সংস্থা সূত্রের খবর, আগামী মাসেই বিষয়টি চূড়ান্ত হত পারে।
সূত্রের খবর, এখন বিএসএনএলে কর্মী-অফিসারদের সংখ্যা প্রায় ১.৬৫ লক্ষ। ভিআরএসের ওই সীমা কার্যকর হলে প্রায় ১.১৫ লক্ষ তার আওতায় আসবেন। সেই সঙ্গে সার্বিক ভাবেই দুই সংস্থায় অবসরের বয়স ৬০ থেকে কমিয়ে ৫৮ বছর করার প্রস্তাব রয়েছে। এ ছাড়া ৪-জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ, বিএসএনএল ও এমটিএনএলের সংযুক্তির কথা বলা হয়েছে মেমোতে।
এআইবিএসএনএলইএ-র প্রেসিডেন্ট শুভাশিস মিত্র ও বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট অনিমেষ মিত্রের দাবি, সংগঠনগুলিকে অন্ধকারে রেখে এগোচ্ছে ডট। শুভাশিসবাবু বলেন, ‘‘পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের নামে কর্মী কমিয়ে আসলে সংস্থাগুলিকে গোটাতে
চাইছে কেন্দ্র।’’ তাঁরা অবসরের বয়স কমানোর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। বৃহস্পতিবার সমস্ত সংগঠন পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে বৈঠকে বসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy