গত ছ’মাস ধরে ১২,০০০ পয়েন্টেরও বেশি হারিয়েছিল সেনসেক্স। তার এক-তৃতীয়াংশ (৪২০০) ফেরত পেতে সময় নিল মাত্র ছ’দিন। এই সময়ের মধ্যে লগ্নিকারীদের ঘরে ফিরল ২৭.১০ লক্ষ কোটি টাকা!
সোমবার ১০৭৮.৮৭ পয়েন্ট উঠে সেনসেক্স দৌড় শেষ করল ৭৭,৯৮৪.৩৮ অঙ্কে। নিফ্টি ৩০৭.৯৫ পয়েন্ট উঠে ২৩,৬৫৮.৩৫ অঙ্কে থেমেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ফের পুঁজি ঢালতে শুরু করেছে ভারতে। তার প্রভাব পড়েছে বাজারে। মাথা তুলেছে ছোট (১.১৭%) এবং মাঝারি (১.৩২%) মাপের শেয়ারের সূচকও। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই ঘুরে দাঁড়ানো কি দীর্ঘমেয়াদি হবে?
জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের গবেষণা শাখার প্রধান বিনোদ নায়ারের ব্যাখ্যা, এই উত্থানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কি না, তা নির্ভর করবে শিল্প পরিসংখ্যান, জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে সংস্থাগুলির আর্থিক ফলাফল এবং আমেরিকার শুল্কের উপরে।
এ দিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রাও অনেকটা এগিয়েছে। ১ ডলারের দাম ৩৭ পয়সা কমে হয়েছে ৮৫.৬১ টাকা। ২০২৫ সালে যেটুকু ক্ষয় হয়েছিল, তা পুরোটাই গত সাত দিনে পুষিয়ে গিয়েছে। পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলেন, ‘‘সম্প্রতি বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রির চাপ কমেছে। উন্নতি দেখা যাচ্ছে বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারেরও। এখনকার পরিস্থিতি বজায় থাকলে ডলারের দাম ৮৫-৮৬ টাকার মধ্যে থিতু হতে পারে। তবে আমেরিকার শুল্ক নীতি সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার দিকেও নজর রাখা দরকার।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)