প্রতীকী ছবি।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশে গাড়ির জন্য নতুন দূষণ বিধি ‘ভারত স্টেজ-৬’ (বিএস-৬) চালু হচ্ছে। ৩১ মার্চের পরে বর্তমান বিধি ‘বিএস-৪’ মেনে আর কোনও গাড়ি তৈরি করা যাবে না। ফলে মার্চ ফুরোনোর পর থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে বিএস-৬ মাপকাঠি অনুযায়ী তৈরি গাড়ির জন্য উপযুক্ত পেট্রল ও ডিজেলই সরবরাহ করতে হবে তেল সংস্থাগুলিকে। ওই পথে হাঁটতে এ রাজ্যে ইতিমধ্যেই তাদের পাম্পে বিএস-৬ মাপকাঠির ওই দুই জ্বালানির জোগান শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি)। তবে এরই পাশাপাশি আইওসি কর্তাদের ইঙ্গিত, ১ এপ্রিলের পরে বিএস-৬ মাপকাঠির জ্বালানির দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
আইওসি-র ইডি তথা পশ্চিমবঙ্গ সার্কলে সংস্থাটির প্রধান প্রীতিশ ভরত জানান, আপাতত তাঁরা বিএস-৪ মাপকাঠির সঙ্গে মিশিয়ে বিএস-৬ মাপকাঠির পেট্রল-ডিজেল সরবরাহ শুরু করেছেন। এ ভাবে ধাপে ধাপে বিএস-৪ মাপকাঠির জোগান বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে ১ এপ্রিল থেকে শুধুই বিএস-৬ তেলের জোগানে কোনও সমস্যা হবে না, দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিলের পরে বিএস-৪ গাড়ি চললেও, নতুন সব গাড়িই বিএস-৬ মাপকাঠির হতে হবে। তবে বিএস-৪ গাড়িতে বিএস-৬ জ্বালানি ভরা যাবে। কিন্তু বিএস-৬ গাড়িতে বিএস-৪ জ্বালানি ভরা যাবে না।
নতুন জ্বালানির দাম এমনিতেই কিছুটা বাড়বে বলে বাজারে জল্পনা। আইওসি-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব সিংহ জানান, দাম সামান্য বাড়তে পারে। তবে তাঁর আশ্বাস, ক্রেতার উপর তা বোঝা হবে না। সিংহ জানান, বিএস-৬ মাপকাঠির উন্নত জ্বালানি উৎপাদনের জন্য তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। এর মধ্যে ১৭,০০০ কোটি লগ্নি করেছে আইওসি। প্রীতিশ জানিয়েছেন, হলদিয়ার শোধনাগার উন্নীত করতে তাঁরা ৩০০০ কোটি টাকা ঢেলেছেন।
এক ঝলকে
• ১ এপ্রিল থেকে দেশে বাধ্যতামূলক ভাবে চালু হচ্ছে বিএস-৬ দূষণ বিধির জ্বালানি।
• রাজ্যের পেট্রল পাম্পে বিএস-৬ মানের তেল সরবরাহ শুরু করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল।
• আপাতত বিএস-৪ মানের তেলের সঙ্গে মিশিয়েই নতুন জ্বালানি দেওয়া হবে।
• ধীরে ধীরে পুরনো ভান্ডার ফুরোলে পুরোপুরি বিএস-৬ ভরা হবে গাড়িগুলিতে।
• বিএস-৬ জ্বালানি উৎপাদনের জন্য তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে।
• এর মধ্যে আইওসি ঢেলেছে ১৭,০০০ কোটি। দূষণ কমানোর তেল আনতে তাদের হলদিয়ার শোধনাগারে লগ্নির অঙ্ক ৩০০০ কোটি।
এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে সংস্থাটি লগ্নি করছে আরও ৩৬৮৯ কোটি টাকা। জোর দেওয়া হচ্ছে জৈব বর্জ্য থেকে সিএনজি উৎপাদনের উপরেও। এ জন্য এ রাজ্যে দু’টি সংস্থাকে বরাত দিয়েছে আইওসি।
পাশাপাশি জৈব গ্যাস থেকেও রান্নার গ্যাস (এলপিজি) উৎপাদনের জন্য গবেষণা চালাচ্ছে সংস্থাটি। সেই শাখার কর্তা এস এস ভি রামকুমারের আশা, দু’তিন বছরের মধ্যে সেই গবেষণা সাফল্যের মুখ দেখবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy