প্রতীকী ছবি।
লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়া (এআই) বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াল সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস। এর আগে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, বিক্রির সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে অন্তত একশো বার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক।
বিএমএসের অভিযোগ, লাভজনক ব্যবসা করা, কাজের ভাল সুযোগ তৈরি ও দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতিতে অবদান রাখার মতো নানা লক্ষ্য ঝোলানো হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সামনে। কিন্তু পরে তাদের সাফল্য বা ব্যর্থতা মাপা হয় মুনাফার নিক্তিতে! তার ভিত্তিতেই তুলনা টানা হয় প্রতিদ্বন্দ্বী বেসরকারি সংস্থার সঙ্গেও। যেমন, এআইয়ের লোকসানের কথা বারবার বলা হয়। কিন্তু তা হলে প্রশ্ন ওঠে যে, তাদের বহু অলাভজনক রুটে উড়ান চালাতে হল কেন? সংগঠনের দাবি, এআই বিক্রি হলে বহু কর্মীর চাকরি সঙ্কটে পড়বে। উড়ান মানচিত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হবে অনেক বিমানবন্দর, যেখানে শুধু লাভের হিসেব কষে উড়ান চালাবে না বেসরকারি সংস্থা। কেন্দ্র যেখানে ‘উড়ান’ প্রকল্পে দেশের আরও অনেক শহরকে আকাশপথে জুড়তে চাইছে, তখন এই সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
সংগঠনের অভিযোগ, রাজকোষে টান পড়লেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি বা বিলগ্নিকরণের ‘সহজ’ রাস্তায় হাঁটে সরকার। দাবি করে, ধুঁকতে থাকা সংস্থাকে কিনে তাকে দক্ষ হাতে চালাবে বেসরকারি সংস্থা। তাদের প্রশ্ন, তা হলে ব্যাঙ্কিং-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু বেসরকারি সংস্থার এমন বেহাল দশা কেন? কেনই বা মুখ থুবড়ে পড়েছে জেট, কিংফিশারের মতো বিমান সংস্থা?
কেন্দ্র যখন এআইয়ের ৪৯% শেয়ার বিক্রির কথা বলেছিল, তখনই আপত্তি তুলেছিলেন ভাগবত। বলেছিলেন, ক্ষতির অজুহাতে এআই-কে বেচা ঠিক নয়। কেন ক্ষতি হল দেখা জরুরি। এখন কেন্দ্র ১০০% বিক্রি সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সেই যুক্তিই দেখাচ্ছে বিএমএস। তবে এই সিদ্ধান্তকে সাহসী সংস্কার বলছে আন্তর্জাতিক উড়ান উপদেষ্টা সংস্থা সিএপিএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy