শর্ত দু’টি। সুস্বাদু হতে হবে এবং কীটনাশক থাকলে চলবে না। এই জোড়া শর্ত পূরণ করলেই বাংলার ‘বাংলা পান’ কিনতে রাজি সৌদি আরবের বিভিন্ন আমদানিকারী সংস্থা।
শর্ত মানলে প্রতি সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ টন বাংলার পান রফতানির সুযোগ পেতে পারে রাজ্যের কৃষিপণ্য রফতানিকারী সংস্থাগুলি। নানান বিধিনিষেধের দরুন বেশ কিছু দিন ধরে ইউরোপে পানের বাজার বিশেষ ভাল নয়। এই অবস্থায় পান বিক্রির সূত্রে সৌদি আরবের বাজারে লক্ষ্মীলাভের সুযোগ পেয়ে রাজ্যের রফতানিকারীরা উৎসাহিত। এই বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা চেয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
সৌদি আরবের সংস্থাগুলি হঠাৎ বাংলার পান কিনতে চাইছে কেন?
রাজ্যের কৃষিপণ্য রফতানিকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ে গঠিত সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অঙ্কুশ সাহার দাবি, সৌদি আরবে পানের মোট চাহিদার বেশির ভাগই জোগায় বাংলাদেশ। সে-দেশের অধিকাংশ পান আমদানিকারী সংস্থা চালান বাংলাদেশিরাই। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু পানে কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ
উঠছে। কীটনাশক রয়েছে, এমন পান কেনার ব্যাপারে সৌদিতে বিধিনিষেধ তৈরি হচ্ছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে পান আমদানির জন্য বহু সংস্থা যোগাযোগ করছে। অঙ্কুশবাবু জানান, তাঁরা কীটনাশকমুক্ত বাংলা পানই রফতানি করবেন বলে সৌদি আরবের সংস্থাগুলিকে আশ্বস্ত করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১২ হাজার একর জমিতে মূলত পাঁচ ধরনের পান চাষ হয়। সেগুলি হল বাংলা, ছাঁচি, মিঠা, কালি বাংলা ও সিমুরালি বাংলা পান। সৌদি আরব ‘বাংলা পান’-ই কিনতে চায়। কারণ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা পানের কদর রয়েছে বহু দেশেই। সৌদি আরবের আমদানিকারী সংস্থাগুলিও তা জানে। তাই শর্ত মানলে পশ্চিমবঙ্গ শুধু ওই দেশে পান রফতানি করেই বছরে কমবেশি ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারবে। তার সুফল পাবেন রাজ্যের পানচাষিরাও।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখন শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশে পান রফতানি করা হয়।
সেই তালিকায় সৌদি আরব পাকাপাকি ভাবে ঢুকে গেলে পান ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে বলেই
আশা করছে রফতানিকারী সংস্থাগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy