প্রতীকী ছবি।
আগামী কাল, শনিবার দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সাধারণ কর্মীদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশন (এআইবিইএ)। তাদের দাবি, ইউনিয়নের সদস্য বেশ কিছু কর্মীর সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছেন বেশ কিছু ব্যাঙ্কের কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র ইউনিয়ন করার ‘অপরাধে’ শ্রম আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিনা কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে একাংশকে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই সারা দেশে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ফলে কাল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। এটিএম পরিষেবাও ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন এআইবিইএ-র নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ফেডারাল ব্যাঙ্ক, সোনালী ব্যাঙ্ক-সহ মোট ১১টি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে ইউনিয়নের নেতাদের হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে। সংগঠন করছেন বলেই অনেকে চক্ষুশূল হচ্ছেন। বেশ ক’জন ইউনিয়নের নেতা এবং সক্রিয় কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনকি তাঁদের কোনও রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে শ্রম বিরোধ আইনের কোনও রকম তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। ব্যাঙ্ক কর্মীরা এই অন্যায় মেনে নেবেন না। অনেক ক্ষেত্রে কর্মী-কর্তৃপক্ষের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও ভঙ্গ করা হয়েছে। ইচ্ছে মতো এক এক জনের বিরুদ্ধে এক এক রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এ সবের প্রতিবাদ জানাতেই সারা দেশে ধর্মঘট করে ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখা হচ্ছে। অভিযোগ নিয়ে শেষ পর্যন্ত শুধু ফেডারাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও, তার আঞ্চলিক কর্তা বিষয়টিতে মন্তব্য করতে চাননি।
আজ, শুক্রবার এ নিয়ে কেন্দ্রীয় মুখ্য শ্রম কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এআইবিইএ-র প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ব্যাঙ্ক ধর্মঘট শেষ পর্যন্ত হবে কি না, তা নির্ভর করছে আলোচনার ফলাফলের উপর। রাজেনবাবু জানান, ‘‘ধর্মঘট নিয়ে কথা বলতে মুখ্য শ্রম কমিশনার আমাদের এবং অভিযুক্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্তৃপক্ষকে আজ দিল্লিতে ডেকেছেন। ওই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে না নিলে ধর্মঘট হবেই।’’ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন আইবিএ জানিয়েছে, বৈঠকে তারা থাকছে। দু’পক্ষের বিবাদ মেটানোর জন্য রফাসূত্র বার করার চেষ্টা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy