সম্প্রতি গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের পাইকারি বাজারে (ক্রেতাকে বিক্রির জন্য ডিলাররা সংস্থার কাছ থেকে যা কেনে) গাড়ি বিক্রির হিসেব প্রকাশের পরে হতাশা আরও চেপে বসেছে এই শিল্পের অন্দরে। সিয়াম বলেছে, তারা ২২ বছর ধরে বিক্রির খতিয়ান তৈরি করছে, কিন্তু ২০১৯ সালের মতো ব্যবসার খারাপ অবস্থা কখনও দেখেনি। সূত্রের খবর, তার পরেই বাজেটে কেন্দ্রের কাছে আরও বড় মাপের আর্থিক ত্রাণের দাবিতে সরব হয়েছে গাড়ি শিল্প। দাবি করেছে, দু’দশকের সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি থেকে তাদের বার করতে সরকারের তরফে আরও কড়া দাওয়াই। যার অন্যতম, বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়াতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার। যাতে দেশেই ব্যাটারি তৈরি হয়। আর তার হাত ধরে খরচ কমে বৈদ্যুতিক গাড়ির।
পুরনো গাড়ি বাতিলের জন্য জিএসটিতে ৫০% করছাড়ের মতো আর্থিক সুবিধার দাবিও জানানো হয়েছে। সওয়াল করা হয়েছে পুরনোগুলিকে ফের নথিভুক্ত করার চার্জ ও পথকর বাড়ানোর। যাতে নতুন গাড়ি কেনেন ক্রেতা।
বছর খানেক পেরিয়ে গিয়েছে গাড়ি বিক্রি বাড়ার নাম নেই। ইতিমধ্যেই বহু গাড়ির ডিলার ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সংস্থাগুলিও গাড়ি তৈরি কমিয়েছে। ফলে যন্ত্রাংশ শিল্প ধাক্কা খেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গাড়ি শিল্পে ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন ৩.৫ লক্ষেরও বেশি কর্মী। শিল্প মহলের দাবি, মানুষের আর্থিক অবস্থা এতটাই অনিশ্চিত যে, গাড়ি কেনার লোক কমেছে। তার উপরে আগামী এপ্রিল থেকে রাস্তায় বিএস-৬ দূষণ বিধির গাড়ি ব্যবহার বাধ্যতামূলক হচ্ছে। সূত্রের দাবি, দূষণ কমানোর লক্ষ্যে এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, এতে খরচ ৮-১০ শতাংশ বাড়ছে। তাদের মতে, বাড়তি খরচ চাহিদায় কোপ ফেলছে। তাই বিএস-৬ বিধির গাড়িতে জিএসটি ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করার আর্জি জানিয়েছে শিল্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy