প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ায় অগস্টে সাধারণত গাড়ি কেনার আগ্রহ বাড়ে। জুলাইয়ে শো-রুম থেকে বিক্রির পরিসংখ্যানে সেই বাজার সম্পর্কে কিছুটা আঁচ মেলে। বৃহস্পতিবার গাড়ি ডিলারদের সংগঠন ফাডার দাবি, এ বছর সেই আঁচ স্তিমিত। জুলাইয়ের বিক্রি গত বছরের তুলনায় তো বটেই, ২০১৯-এর থেকেও অনেক পিছনে। অনিয়মিত বর্ষায় গ্রামীণ অর্থনীতির ধাক্কা খাওয়া কিংবা আমেরিকা-চিন-তাইওয়ানের সম্ভাব্য সংঘাত অগস্টের ব্যবসা নিয়েও সংশয় তৈরি করেছে।
ফাডার হিসাব বলছে, গত জুলাইয়ে আগের বছরের চেয়ে বিক্রি কমেছে ৮%, ২০১৯ সালের চেয়ে প্রায় ২০%। যাতে গাড়ি শিল্প যে স্থিতিশীল হয়নি, তা স্পষ্ট হল। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ভিঙ্কেশ গুলাটির দাবি, গত বছর কোভিডের কারণে বিক্রি ছিল পড়তি। তিন চাকা এবং বাণিজ্যিক গাড়ি ছাড়া বাকি সব কিছুর ব্যবসা কমেছে সে বারের থেকেও। দু’চাকার চাহিদা ঝিমিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতি নড়বড়ে হওয়ায়। ২০১৯ ধরলে পিছিয়ে তিন চাকা এবং বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসাও।
অর্থনীতির হাল বোঝার অন্যতম মাপকাঠি গাড়ি ব্যবসা। প্রথমে অর্থনীতির ঝিমুনি, পরে করোনায় যা তলিয়ে গিয়েছিল। পরে যাত্রিবাহী, তিন চাকা, বাণিজ্যিক গাড়ির চাহিদা কিছুটা বাড়লেও, তা পূরণ করা যায়নি সেমিকনডাক্টরের মতো জরুরি যন্ত্রাংশের ঘাটতিতে।
ফাডার দাবি, বিভিন্ন জায়গায় অনিয়মিত বর্ষার দরুন খরিফ শস্যের বীজ বপন কম হয়েছে। তাই উৎপাদন কমার আশঙ্কায় গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফেরা নিয়ে আশঙ্কা বহাল। আমেরিকা-চিন-তাইওয়ানের সংঘাত বাড়লে ফের সেমিকনডাক্টরের আকাল পড়বে। জুলাইয়ে পরিষেবা ক্ষেত্রের পিএমআই সূচকের চার মাসে সর্বনিম্ন হওয়া আর্থিক বৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত। ফলে চিন্তা থাকছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy