ছবি রয়টার্স।
রিলায়্যান্স জিয়োর অনুরোধে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সের (আর-কম) সম্পত্তি কেনার জন্য দর দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে সংস্থাটির ঋণদাতা কমিটি। অথচ ভারতী এয়ারটেলের অভিযোগ, এর আগে একই অনুরোধ তারাও করেছিল। কিন্তু তাতে কান দেওয়া হয়নি। তাই ওই সম্পত্তি কিনতে নিজেদের দেওয়া দরপত্র ফিরিয়ে নিল ক্ষুব্ধ এয়ারটেল। এ ভাবে দরপত্র জমার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত ‘অনৈতিক’ ও ‘পক্ষপাতপূর্ণ’ বলে তোপও দেগেছে সুনীল ভারতী মিত্তলের টেলি সংস্থাটি। ঋণের ভারে জর্জরিত আর-কম ওই সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করেছিল জিয়োকেও। তবে ধার বহন করতে না-চাওয়ার কারণ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক চুক্তি বাতিল করে জিয়ো। উল্লেখ্য, আর-কমের সম্পত্তি কেনার জন্য দরপত্র জমার সময়সীমা ১০ দিন বাড়িয়ে ২৫ নভেম্বর করেছে ঋণদাতা কমিটি।
জিয়োর নাম না নিলেও, এয়ারটেলের ডিরেক্টর (আর্থিক) হরজিৎ কোহলি রেজ়লিউশন প্রফেশনাল অনীশ নিরঞ্জন নানাবতীকে চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বলেছেন, আর-কমের সম্পত্তি কিনতে তাঁদের সংস্থা যখন দরপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করেছিল, তা পত্রপাঠ খারিজ করে সংস্থাটির ঋণদাতা কমিটি। অথচ বিস্ময়কর ভাবে দরদাতাদের সুবিধার কথা ভেবেই শেষ পর্যন্ত সেই সময়সীমা আরও বাড়ানো হল।
চিঠিতে কোহলি লিখেছেন, ‘‘প্রস্তাবিত লেনদেনে জটিলতা রয়েছে বলেই আর-কমের সম্পত্তি কেনা নিয়ে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে ১ ডিসেম্বর করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই অনুরোধ খারিজ করে ঋণদাতা কমিটি।’’ সংস্থার তোপ, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক যে, শুধুমাত্র একটি সম্ভাব্য দরদাতার আর্জির উপরে ভিত্তি করেই আচমকা এমন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অথচ বেশি সময়ের সুবিধা না পাওয়ায় তাড়াহুড়ো করে অনেক অসুবিধাজনক পরিস্থিতিতে দর দিতে বাধ্য হয়েছে এয়ারটেল। কোহলির দাবি, এই বৈষম্যমূলক আচরণ দরপত্র জমা দেওয়ার স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চালানোর মানসিকতার বিরোধী এবং তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। আর সেই যুক্তিতেই আনুষ্ঠানিক ভাবে দরপত্র প্রত্যাহারের কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে নতুন সময়সীমার মধ্যে আর-কমের সম্পত্তি কেনা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা জমার অধিকার সংরক্ষিত রাখার বার্তা দিয়েই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy