প্রতীকী ছবি।
গত বছর বেড়েছিল ২০ টাকা। এ বার মোবাইল পরিষেবার ন্যূনতম মাসুল এক ধাক্কায় ৫৬ টাকা বাড়াল ভারতী এয়ারটেল। বৃদ্ধি প্রায় ৫৭%। তবে শুধু হরিয়ানা এবং ওড়িশার গ্রাহকদের জন্য। তার পরেই দেশ জুড়ে জল্পনা, এটা কি টেলিকম সংস্থাটির বাজারে জল মাপার চেষ্টা? ওই দুই সার্কলের গ্রাহকেরা আপত্তি না তুললে অন্যান্য জায়গাতেও কি তারা একই পথে হাঁটবে? কী করবে ‘সস্তা’র পরিষেবা এনে চমক দেওয়া রিলায়্যান্স জিয়ো কিংবা আর্থিক ভারে কাহিল ভোডাফন আইডিয়া (ভি) অথবা বিএসএনএল? সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই সব প্রশ্নই রক্তচাপ বাড়াচ্ছে চড়া মূল্যবৃদ্ধির হারে নাভিশ্বাস ওঠা সাধারণ মানুষের।
এয়ারটেল যে গ্রাহকের (ন্যূনতম মাসুল ব্যবহারকারী) ক্ষেত্রে মাসুল বাড়াল, তাঁদের কাছে সাধ্যের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ— বলছে উপদেষ্টা সংস্থা আইসিআইসিআই সিকিওরিটিজ়। তাদের মতোই উপদেষ্টা মর্গ্যান স্ট্যানলিরও বক্তব্য, প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি কী করে সেটাই এখন দেখার। ৪জি পরিষেবাতেও মাসুল বৃদ্ধির আশঙ্কা দানা বেঁধেছে।
বছর ছয়েক আগে শুরুতে কার্যত নিখরচায় এবং পরে সস্তার পরিষেবা দিয়ে ভারতে টেলিকম ব্যবসার ছবিটা বদলে দিয়েছিল জিয়ো। বাধ্য হয়ে মাসুল কমালেও প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলির দাবি ছিল, এত কম টাকায় পরিষেবা দেওয়া অলাভজনক। সেই যুক্তিতেই জোরালো হয় মাসুল বৃদ্ধির সওয়াল। এয়ারটেল ও ভি করোনার আগেই মাসুল বাড়ায়। সেই পথে হাঁটে সস্তার পরিষেবা দেয় বলে দাবি করা জিয়ো-ও। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাসুল বেড়েছে গত বছরও। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে অতিমারি এবং পরে মূল্যবৃদ্ধি বহু মানুষের আর্থিক সাধ্য কমিয়েছে। অথচ দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে যাওয়া মোবাইলের খরচ বাড়ছে। যা আমজনতার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
হরিয়ানা, ওড়িশায় এয়ারটেলের ২জি-ই বেশি। যার ন্যূনতম মাসুল ছিল ৯৯ টাকা। বেড়ে হল ১৫৫ টাকা। তবে সংস্থার দাবি, এতে যত খুশি কথা বলা যাবে। বাড়তি ইন্টারনেটও (১ জিবি) মিলবে। একাংশের বক্তব্য, বাড়তি পরিষেবা পরের কথা, আগে বাড়তি টাকা গুনতে হবে! অন্য অংশ মনে করাচ্ছে, ২জি-মুক্ত দেশে সকলের কাছে নেট পৌঁছতে মুকেশের তাস ৪জি। ৫জি-র পরিকাঠামো গড়তেও সংস্থাগুলি বিপুল লগ্নি করছে। তাই মাসুল না বাড়িয়ে পথ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy