নতুন ভাবে যাত্রা শুরু এয়ার ইন্ডিয়ার। — ফাইল চিত্র।
এয়ার ইন্ডিয়ার (এআই) মালিকানা টাটা গোষ্ঠীর হাতে ফিরে আসায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল। এ বার সংস্থার শীর্ষ কর্তা ক্যাম্পবেল উইলসন দাবি করলেন, নতুন বিমান কেনার ‘ঐতিহাসিক বরাতের’ জন্য এয়ারবাস এবং বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা।
কিছু দিন আগে পর্যন্তও সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকা বিমান সংস্থাটির ভবিষ্যৎ ছিল অনিশ্চিত। গত জানুয়ারিতে দরপত্রের মাধ্যমে সেটিকে অধিগ্রহণ করে টাটা গোষ্ঠী। এর পর জুনে জুনে দোহায় বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের সম্মেলনে এয়ারবাসের সিইও ক্রিস্টিয়ান শিয়েরার কথায় জল্পনা ছড়ায়। তিনি ইঙ্গিত দেন, বাজার দখলের লক্ষ্যে টাটারা নতুন বিমান কিনতে আগ্রহী। যদিও টাটা গোষ্ঠী সেই সময়ে নীরবই ছিল। শনিবার টাটা গোষ্ঠীর এক অনুষ্ঠানে ক্যাম্পবেল স্পষ্ট করলেন, বিমান নির্মাণ সংস্থাগুলির সঙ্গে এই নিয়ে জোরদার কথা চলছে। তিনি বলেন, ‘‘এয়ার ইন্ডিয়ার মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য একেবারে আধুনিক বিমান কেনার ঐতিহাসিক বরাত নিয়ে আমাদের গভীর আলোচনা চলছে।’’
এখন দেশে ও বিশ্ব বাজারে এআইয়ের অংশীদারি যথাক্রমে ১০% ও ১২%। ক্যাম্পবেল জানান, আগামী পাঁচ বছরে দুটি ক্ষেত্রেই ৩০% বাজার দখল করা তাঁদের লক্ষ্য। আপাতত বসে থাকা বিমান মেরামতি করে এবং লিজ়ে বিমান নিয়ে পরিষেবা চলছে।
কী ধরনের ক’টি বিমান এআই কিনতে পারে স্পষ্ট নয়। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই জল্পনা, এয়ারবাস এবং বোয়িং মিলিয়ে ৩০০-র বেশি নতুন বিমানের বরাতের মোট অঙ্ক দাঁড়াতে পারে প্রায় ৫০০০ কোটি ডলার (প্রায় ৪.১০ লক্ষ কোটি টাকা)। ৭০% হবে ‘ন্যারোবডি এয়ারক্রাফট’। যেগুলি এয়ারবাস-৩২০-র মতো দেড়শোর কাছাকাছি যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রাখে। বাকিগুলি বড় বিমান (ওয়াইড বডি জেট)।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy