ছবি সংগৃহীত।
গত কয়েক বছর ধরে বাংলার দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় তুলে ধরতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার। পুজোকে কেন্দ্র করে পর্যটনের বিস্তারে উদ্যোগী হয়েছে সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্র। সেই পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এ বার শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত মহিলা উদ্যোগপতি এবং সংস্থার মহিলা আধিকারিকদের ক্ষমতায়নে জোর দিল অ্যাসোসিয়েশন অব ডোমেস্টিক টুর অপারেটর্স অব ইন্ডিয়া (এডিটিওআই)। ভবিষ্যতে পুজোকেন্দ্রিক পর্যটন পরিকল্পনা স্থির করার লক্ষ্যে এমন প্রায় ২০ জন মহিলা সদস্যকে সোমবার কলকাতার বেশ কয়েকটি বনেদি বাড়ির পুজো ঘুরিয়ে দেখানোর কর্মসূচি নেয় পর্যটন মন্ত্রকের সংস্থা ইন্ডিয়া টুরিজ়ম এবং পর্যটন সংস্থাগুলির সংগঠনটি।
সংগঠনের মহিলা সদস্যদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বছর দুয়েক আগে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে ‘লেডি অন্ত্রেপ্রেনিয়োর অফিসার’ (লিয়ো) মনোনয়ন করেছিল এডিটিওআই। এ রাজ্যের ‘লিয়ো’ পূজা কাড়ার জানান, রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সব মহিলা নানা সৃষ্টিশীল কাজে যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে পর্যটনের বিস্তার ঘটানো সংগঠনের অন্যতম লক্ষ্য। তাতে সেই মহিলারাও আর্থিক ভাবে আরও স্বাধীন হবেন।
এডিটিওআইয়ের বক্তব্য, ঠিক একই ভাবে বাংলার পুজোকে কেন্দ্র করে পর্যটন ব্যবসায় মহিলা উদ্যোগপতিদের যুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যেই এ দিনের কর্মসূচি। শোভাবাজার রাজবাড়ি, রানি রাসমণির বাড়ি, চন্দ্রবাড়ি, হাটখোলা দত্তবাড়ির মতো কয়েকটি বনেদি বাড়ির পুজো, তার ঐতিহ্য এবং সার্বিক ভাবে দুর্গাপুজোর প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয় সদস্যদের সামনে। আলোচনা হয় উৎসবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত বাঙালির খাদ্যাভ্যাস নিয়েও। যাতে ভবিষ্যতে পুজো পরিক্রমার পরিকল্পনার সামগ্রিক রূপরেখা তৈরি করতে সুবিধা হয় মহিলা উদ্যোগপতিদের।
কলকাতার এক পর্যটন সংস্থার অন্যতম প্রধান দেবযানী বসু মনে করেন, এমন কর্মসূচির ঠিক মতো বাস্তবায়ন হলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ‘শো কেস’ করে ব্যবসার মানচিত্রে আরও ভাল ভাবে তুলে ধরা সম্ভব। বিশেষ করে বনেদি বাড়ির পুজো ভবিষ্যতের মহিলা উদ্যোগপতিদের নতুন দিশা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy