ফাইল চিত্র।
স্পেকট্রাম এবং লাইসেন্স ফি-র আয়ের (এজিআর) ভিত্তিতে কেন্দ্রের পাওনা থেকে শুরু করে স্পেকট্রামের দাম, ব্যাঙ্ক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ধার— সমস্ত খাতে বিপুল বকেয়া মিটিয়ে ভোডাফোন আইডিয়া ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে কি না, সেই জল্পনা ছিলই। সোমবার তা আরও জোরালো হল এটা জানার পরে যে, খোদ সংস্থার কর্ণধার, আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা ভোডাফোন আইডিয়াতে তাঁর পুরো (২৭%) অংশীদারি সরকারি বা অন্য কোনও সংস্থাকে বিক্রি করে বেরিয়ে যেতে চেয়েছেন। প্রায় মাস দুয়েক আগেই।
শুধু তা-ই নয়, গত ৭ জুন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি আর্থিক ভাবে সংস্থার পুরোপুরি ভেঙে পড়া নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বলেন, বকেয়ার দায়, স্পেকট্রামের দাম এবং খরচের তুলনায় মাসুল খাতে অনেক কম আয়ের মতো যে সমস্যাগুলির ধাক্কায় নাভিশ্বাস উঠেছে ভোডাফোন আইডিয়ার, সরকার তার সুরাহায় অবিলম্বে এগিয়ে না-এলে জুলাইয়ের মধ্যেই সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার মতো বিন্দুতে পৌঁছে যাওয়া আটকানো যাবে না।
এর আগেও অবশ্য কুমার মঙ্গলম সম্ভব হলে টেলিকম ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এ বার তাঁর দাবি, এজিআরের বকেয়া নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব, স্পেকট্রামের দাম মেটাতে যথেষ্ট বাড়তি সময় না-দেওয়া এবং পরিষেবার খরচের চেয়ে ন্যূনতম মাসুল বেশি না-হওয়ায় লগ্নিকারীরা সংস্থায় টাকা ঢালতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, ‘‘সংস্থার ২৭ কোটি গ্রাহকের স্বার্থের কথা ভেবে আমি সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত বা দেশি আর্থিক সংস্থা অথবা সরকার যাকে ব্যবসাটা চালাতে পারবে বলে মনে করবে, তাকেই আমার অংশীদারি খুশি মনে দিয়ে দেব।’’ এ দিন অবশ্য আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী বা ভোডাফোন আইডিয়ার কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। ফলে ৭ জুনের পরে সরকার ও বিড়লাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy